হাতবোমা পেতে হামাস নেতা হানিয়াকে হত্যা করা হয়

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তেহরানে অতিথি ভবনে অবস্থানকালে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হাতবোমা (এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস-ইডি) পেতে হত্যা করা হয়েছে।

মোসাদ নিয়োজিত দুই গুপ্তচর তার বিছানার নিচে বোমা পেতে রাখে। এরপর মোসাদ বোমা ফাটিয়ে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে।

বিজ্ঞাপন

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নিয়োগ করা গুপ্তচর ইরানের ইসলামিক রিভোলুশনারি গার্ড করপস (আইআরজিসি) গার্ডের দুই সদস্য বলে জানা গেছে।

বুধবার (৭ আগস্ট) ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জিইউশ ক্রনিকলের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু আজানসি (এএ) এ খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানে যে অতিথি ভবনে অবস্থান করছিলেন, তার বিছানার নিচে হাতবোমা পেতে রাখা হয়। এরপর আইআরজিসি-এর এই দুই সদস্য ইরান ত্যাগ করেন।

তাদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে বলা হয়, তারা আইআরজিসি’র আনসার আল-মাহদি নিরাপত্তা ইউনিটের সদস্য। এই ইউনিটের সদস্যরা তেহরানে অতিথি ভবন এবং অতিথিদের নিরাপত্তা রাখায় কাজ করেন। তবে ওই দুই সদস্যের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায়, হামাস নেতা যে ঘরে অবস্থান করবেন, চুপিসারে সে ঘরের দরজার তালা চাবি দিয়ে খুলে ওই দুই গুপ্তচর ঘরে প্রবেশ করেন। এর ৩ মিনিট পর তারা ঘরের বাইরে বের এসে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যান।

গাড়ি রাখার নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত রক্ষীরা তাদের কোনো প্রশ্ন না করে ভবনের সদর দরজা খুলে দেন। এরপর তারা একটি কালো রঙের গাড়িতে উঠে ইরান ত্যাগ করেন।

খবরে আরো বলা হয়, মোসাদের গোয়েন্দা বিভাগের ইউনিট ৮২০০ ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানের সংগঠক এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের ফোনকলে আঁড়ি পেতে তথ্য সংগ্রহ করে।

এরপর যখন ইসমাইল হানিয়ার তেহরান আসা নিশ্চিত হয় এবং কোথায় অবস্থান করবেন, সে বিষয়ে মোসাদ জানতে পারে, তখন তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৩১ জুলাই তেহরানে অবস্থান করার সময় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া গুপ্ত হামলায় নিহত হন। এরপর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইরান, হামাস ও হেজবুল্লাহ ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা করে।