কানাডার অন্টারিও প্রদেশের পোর্ট ব্রুস সৈকতে নিখোঁজ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থী নিধুয়া মুক্তাদিরের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় নিখোঁজের এক মাস পরে শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোর্ট ব্রুস সৈকতের কাছে ইরি লেকের পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিধুয়ার ভাই আব্রাহাম মুক্তাদির লন্ডন ফ্রি প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার বোনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি উদ্ধারকর্মী ও অনুসন্ধানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা কঠিন পরিস্থিতিতেও সাহায্য করেছেন। আমরা সত্যিই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, নিধুয়া সবসময়ই সাহসী ছিল। আমরা তাকে এমনভাবেই মনে রাখবো।
নিধুয়া মুক্তাদির কানাডায় বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক সামিনা নাসরিন চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মায়ের সঙ্গে স্কারবারোর ক্রিসেন্ট টাউনে থাকতেন। কানাডার ফানশাওয়ে কলেজে নার্সিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নিধুয়া। সর্বশেষ ৩ ডিসেম্বর নিধুয়াকে পোর্ট স্ট্যানলি শহরের নিকটবর্তী হক ক্লিফ রোড এলাকায় দেখা গিয়েছিল।
স্থানীয় পুলিশ নিধুয়ার নিখোঁজ হওয়ার সময়ের একটি ছবি প্রকাশ করেছিল, যেখানে তাকে কালো জ্যাকেট, বেগুনি হুডি, গোলাপি-সাদা স্কার্ফ ও সাদা জুতা পরা অবস্থায় দেখা যায়। ওইদিন তাকে একটি সাদা ব্যাকপ্যাক ও স্যুটকেসও বহন করতে দেখা গিয়েছিল।
কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম লন্ডন ফ্রি প্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন নিধুয়া। এরপর থেকেই তার সন্ধানে ব্যাপক অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়। নিখোঁজ হওয়ার একমাস পর শনিবার ওয়ানিটা সৈকতে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার মরদেহ খুঁজে পান।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশ জানিয়েছে, নিধুয়ার শরীরে অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তারা মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
টরন্টোতে বসবাসকারী নিধুয়ার মা সামিনা নাসরিন চৌধুরি জানান, মেয়ের বয়স যখন ৯ বছর, তখন তিনি মেয়েকে নিয়ে কানাডায় চলে আসেন। সবমিলিয়ে তারা এখানকার জীবন নিয়ে খুশিই ছিলেন। ২৯ নভেম্বর মেয়ের সঙ্গে তার শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। সেদিন নিধুয়া বেশি খুশি ছিলেন।