দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন ৫ ফেব্রুয়ারি
ভারতের নির্বাচন কমিশন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার দিন জানিয়েছে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানী নয়া দিল্লির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার। ভারতের গণমাধ্যম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটগ্রহণ হবে একদিন— ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতাপত্র জমা দিতে পারবেন এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি।
রাজধানী নয়াদিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় মোট ভোটারসংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখেরও বেশি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তরুণ ভোটার হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন ২ লাখেরও বেশি তরুণ-তরুণী। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সিইসি রাজীব কুমার বলেন, দিল্লির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বিধানসভা নির্বাচনে এত বেশিসংখ্যক তরুণ ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। ভোটগ্রহণ সহজ ও গতিশীল করতে কমিশনের পক্ষ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজীব কুমার।
তিনি আরও বলেছেন, ৮৫ কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়স্ক ভোটাররা বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন। দিল্লির এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে বিজেপি এবং আম আদমি পার্টির (আপ) মধ্যে। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানসভাটি দখল করতে চাইছে, কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা আম আদমি পার্টি। ২০২৩ সাল থেকে দিল্লির রাজ্য সরকারে আসীন রয়েছে আপ।
ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে। দিল্লির রাজনীতিবিদদের অনেকের মতে ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ থাকে। তবে সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, “বর্তমানে যে ইভিএম আমরা ব্যবহার করছি, তা হ্যাক করা সম্ভব নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এই যন্ত্রটি প্রস্তুত করা হয়েছে। অতীতে আমরা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি; সেগুলো ভালোভাবে তদন্ত হয়েছে এবং তারপর দেখা গেছে— অভিযোগ ভিত্তিহীন।”