সেনা প্রত্যাহারের পর গাজার দুই শহরে ৬০ মৃতদেহ উদ্ধার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর গাজা উপত্যকার দুটি শহরে প্রাথমিক অনুসন্ধানে অন্তত ৬০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) হামাস পরিচালিত গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গাজার তাল আল-হাওয়া এলাকায় হত্যাকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবর।

হামাস এক বিবৃতিতে বলছে, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের পর কয়েকদিন দূর থেকে তীব্র বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনারা অনুপ্রবেশ করে ছোট ছোট হামলা চালাচ্ছে। এটি নিশ্চিত গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা।’ ওই বিবৃতিতে হামাস জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় হামাস।

হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘তাল আল-হাওয়া ও আল-সিনা জেলায় মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনারা হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে কয়েক দিনের লড়াইয়ের পর সেখান থেকে চলে গেছে ‘

বাসাল বলেন, ‘কমপক্ষে ৬০টি মৃতদেহ গণনা করা হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক লাশ রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং উদ্ধার তৎপরতা নিয়মিত ব্যাহত হচ্ছে।’

অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দীদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সকল পক্ষেকে গণদুর্ভোগ লাঘব, প্রাণহানি রোধ করা এবং সমস্ত বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধবিরতি দেওয়া উচিত।’

সংস্থাটি হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলছে, ‘অবিলম্বে গাজায় জিম্মি হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। যেহেতু বন্দীদের পরিবার ইসরায়েলে বিক্ষোভ করেছে ‘

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা, নীতি ও প্রচারণার বিষয়ক জ্যৈষ্ঠ পরিচালক এরিকা গুয়েভারা-রোসাস বলেন, ‘জিম্মি করা একটি যুদ্ধাপরাধ। যারা এখনও বেঁচে আছে তারা তাদের প্রিয়জনদের থেকে দূরে জিম্মি হয়ে নয় মাসেরও বেশি সময় কাটিয়েছে। তাদের এবং তাদের পরিবারের ওপর এই ধরনের মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।’