ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে
রোববার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। দেশটির টাউন এবং বড় বড় শহরগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগের প্রথম দফার ফলাফলে জয়লাভ করেছে মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। ক্ষমতাসীন ম্যাখোঁর দল রয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে সকাল ৮টা থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটে সহিংসতা এড়তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে প্রাপ্ত আংশিক ফলাফল পাওয়ার পরই থেকেই আনুমানিক ফলাফল জানা যেতে পারে। ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর বুথফেরত জরিপ পাওয়া যাবে।
এর আগে, গত রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে প্রথম ধাপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। অন্যদিকে প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পায় বামপন্থি দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট।
প্রথম দফার নির্বাচনে কট্টরপন্থিদের জয়লাভের পর তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আটকাতে ‘ট্যাক্টিক্যাল ভোটের’ আহ্বান জানান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তার দল ২০.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
প্রথম দফায় ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল প্রায় ৬৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের সংসদ নির্বাচনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বেশি।
ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে বলে দেয় যায় না। তবে আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পাওয়ায় দলটি বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে আরএনকে দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বাধা দিতে বিরোধীরা দ্বিতীয় দফার নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, আরএনবিরোধী ভোট প্রার্থীদের মধ্যে যাতে বিভাজন সৃষ্টি না হয় সেজন্য এই পদক্ষেপ। প্রথম দফার ভোটে জয় পাওয়া আরএন দলকে আটকাতে বিরোধীরা একটি ‘রিপাবলিকান ফ্রন্ট’ তৈরি করার ঘোষণাও দেন।
ফ্রান্সের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০০ জনেরও বেশি প্রার্থী নিশ্চিত করেছেন যে তারা ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের জাতীয় সংসদের জন্য দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে লড়বেন না।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রথম দফার নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া ২১৪ থেকে ২১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন; অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় আর ৩০০ আসনে নয়, বরং ১০৮টি আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে।