`ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেক ধ্বংস করেছে রাশিয়া'

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার (১১ জুন) বলেছেন, শীতকাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে গেছে।

বার্লিনে এক সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার ফলে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের নয় গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস হয়েছে। গত শীতে দেশটির বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১৮ গিগাওয়াট। বর্তমানে ওই এর অর্ধেকও বিদ্যমান নেই।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, রাশিয়াকে চাপে রাখতে ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ন্যাটোতে যোগদানের পর মঙ্গলবার (১১ জুন) এই পশ্চিমা সামরিক জোটের জন্য প্রথম যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে ফিনল্যান্ড।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফিনল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব রোমানিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে সাতটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান প্রেরণ করেছে, যেখানে তারা রোমানিয়া এবং ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা মিশন পরিচালনা করবে।

ফিনল্যান্ডের বিমান বাহিনীর একজন কমান্ডার বলেছেন, ‘এই মিশনটি ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে একীভূতকরণকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।’

ফিনল্যান্ডের কারেলিয়া এয়ার উইংয়ের কমান্ডার জোহান আন্তিলা মিহাইল কোগালনিশিয়ানু ঘাঁটিতে সেনাদের বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই এয়ার পুলিশিং এয়ার শিল্ডিং মিশন চলাকালীন ন্যাটোতে আমাদের একীকরণের বিষয়টি এক লাফে বহুদূর এগিয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা অনেক কিছু শিখেছি এবং এই সবই ন্যাটোর প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলবে।’

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন যুদ্ধ ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকে ধাবিত করেছে।

রোমানিয়া ২০০৪ সাল থেকে ন্যাটো সদস্য এবং ফিনল্যান্ডের যোগদানের অনুমোদনকারী প্রথম ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যত্তম। ইউক্রেনের সঙ্গে ৬৫০ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে রোমানিয়ার।

ন্যাটো-সমর্থিত একটি আঞ্চলিক এফ-১৬ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে রোমানিয়ায়, যেখানে ইউক্রেনের পাইলটরা শীঘ্রই নেদারল্যান্ডসের দেওয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালনা শিখতে শুরু করবে।