মন্ত্রিত্ব নিয়ে বৈঠকে এনডিএ-র শরিকেরা, চাপে মোদি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নানা নাটকীয়তার পর রোববার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে তার আগে আজ শনিবার এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। সব ঠিকঠাক থাকলে, সেই বৈঠকেই ঠিক হয়ে যাবে কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন। শরিক দলগুলোর জন্য বিজেপি কোন কোন মন্ত্রণালয় ছাড়বে, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে নানা মহলে।

১৮তম লোকসভার ভোটে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবার সরকার গঠনে জোটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। কেননা ভারতে সরকার গঠন করতে ২৭৩টি আসন প্রয়োজন। সেখানে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। প্রাপ্ত আসন সংখ্যার নিরিখে এনডিএ-র শরিকদের মধ্যে বিজেপির পরই রয়েছে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। তৃতীয় স্থানে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তারা পেয়েছে ১২টি আসন।

বিজ্ঞাপন

এনডিএ পেয়েছে ২৯৩ আসন। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে যদি টিডিপি, জেডিইউ-র মতো দল বেঁকে বসে, তবে চাপে পড়বেন মোদি। তারা যাতে জোট ছেড়ে বেরিয়ে না যায়, তা নিয়ে তৎপর বিজেপি।

শোনা যাচ্ছে, চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশরা ইতিমধ্যেই নিজেদের শর্ত জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বকে। তারা কে কোন মন্ত্রণালয় চান, বা রাজ্যের জন্য কে কী সুবিধা চাইছেন— তার তালিকা জমা করেছেন। মৌখিক আলোচনাও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শনিবারের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ ব্যাপারে।

তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী মোদি। শুক্রবারই এনডিএ-র সংসদীয় নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাকে। শরিকেরা সর্বসম্মত ভাবে মোদির নামে সমর্থন জানিয়েছেন। তার পর বিকেলেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছেন মোদি।

লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত পুনরুত্থান হল কংগ্রেসের। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ ঝুলিতে ২৩৩ আসন। বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জয়ী কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে মল্লিকার্জুন খড়েগ, রাহুল গান্ধীর দল।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) আটটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।