এবার শরিক নির্ভর মোদি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবার সরকার গঠনে জোটের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদিকে। কেননা ভারতে সরকার গঠন করতে ২৭২টি আসন প্রয়োজন। সেখানে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি ছিল। এক দেশ এক ভোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের অঙ্গীকার ছিল। এবারের নির্বাচনে ৪০০ পার করার লক্ষ্যমাত্রাও ছিল বিজেপির। কিন্তু অষ্টাদশ লোকসভার ফল জানিয়ে দিল এবার মোদি শরিক নির্ভর।

বিজ্ঞাপন

তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ২৯৩ আসনে জিতেছে। অন্যদিকে, এই লোকসভা নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত পুনরুত্থান হল কংগ্রেসের। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন। ‘ইন্ডিয়া’ ঝুলিতে ২৩৩ আসন। বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জয়ী কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে মল্লিকার্জুন খড়েগ, রাহুল গান্ধীর দল।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) আটটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে। সুতরাং ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল বলেই দিচ্ছে মোদির শরিক ছাড়া উপায় নেই।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বারবার শিবির বদলানো নীতীশ কুমার (জেডিইউ) ও চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ক্রীড়ানক হয়ে উঠতে পারেন দিল্লির মসনদের দাবিদার নির্ধারণের ক্ষেত্রে। কারণ ইন্ডিয়া জোট গঠনের ক্ষেত্রে প্রথমে নীতীশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপ শুরু করেন। এমনকি নীতীশের ডাকেই বিহারে প্রথম ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয়। আবার রাজনীতি ছাপিয়ে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পর্কও বরাবরই মধুর। সরকার গঠনের টানাপোড়নে তারদের ভূমিকার দিকে তাকিয়ে ইন্ডিয়া ও এনডিএ শিবির।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন নীতীশ কুমার বিজেপি বরাবরই এই কটাক্ষ করে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল যত স্পষ্ট হতেই, নীতীশকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যেখানে এনডিএ ২৯৩ আসনে পেয়েছে, সেখানে ২৩৩ আসনে এগিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া। এমন সমীকরণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দিকে হাত বাড়িয়েছে ইন্ডিয়া জোট। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমারকে নাকি ফোন করেছেন রাজনীতির অভিজ্ঞ চাণক্য শরদ পওয়ার।

এনডিএ জোটেই থাকবেন নাকি ইন্ডিয়া জোটে আবার ফিরবেন, তা নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছে, এসময় জেডিইউর প্রভাবশালী নেতা ড. খালিদ আনোয়ার বললেন, নীতীশ কুমারের থেকে ভাল প্রধানমন্ত্রী আর কে হতে পারেন?