গাজা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে মিশর
গাজার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ হিসেবে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সিনাইয়ে প্রায় ৪০টি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছে মিশর। দুটি মিশরীয় নিরাপত্তা সূত্রে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ-এর চারপাশে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণের আগে ওই ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয় বলে জানা গেছে। কারণ, সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা নিরাপত্তা চেয়েছিল।
তাদের আশঙ্কা, ফিলিস্তিনিদের জোর করে গাজা থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।
ওই আশঙ্কার কারণ, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিশর সীমান্ত সংলগ্ন রাফাহ-তে হামলা চালিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার সেনাবাহিনীকে বাস্তুচ্যুত লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা সীমান্তে কংক্রিটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে মিশর, যার উচ্চতা ছয় মিটার এবং এর উপর দিকে কাঁটাতার রয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এ ছাড়াও সীমান্ত চৌকিতে নজরদারি বাড়িয়েছে কায়রো।
সিনাই ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস দ্বারা রয়টার্সের সঙ্গে শেয়ার করা ছবিগুলোতে গত ডিসেম্বরে মিশরের নির্মিত নতুন প্রাচীর দেখতে পাওয়া গেছে।
গত জানুয়ারী এবং ডিসেম্বরের স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে রাফাহ-এর নিকটবর্তী ১৩ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর কিছু নতুন নির্মাণ এবং এর উত্তর প্রান্তে সমুদ্রের ধারে একটি প্রাচীরের সম্প্রসারণ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেয়নি মিশরীয় এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
উত্তর সিনাইয়ে নিরাপত্তা সম্প্রসারণের পর নতুন পদক্ষেপগুলো এসেছে যখন মিশরের সামরিক বাহিনী এক দশক আগে ক্রমবর্ধমান ইসলামপন্থী বিদ্রোহের বিরুদ্ধে তার দখলকে সুসংহত করেছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মিশর বলেছিল, তারা টানেলগুলো ধ্বংস করেছে, যার মাধ্যমে গাজায় চোরাচালান বিকাশ লাভ করেছিল।