বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত অন্তত ৬০
বুরকিনা ফাসোতে সেনাবাহিনীর অব্যাহত ড্রোন হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিও)।
তবে বুরকিনা ফাসো সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট জিহাদীদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
এইচআরডব্লিও’র প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনীর তিনটি ড্রোন হামলায় ওই নিহতের ঘটনা ঘটে।
তিনটি হামলার দুটি চালানো হয় জনাকীর্ণ একটি বাজারে এবং অপরটি একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ২০২২ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সামরিক নেতা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে।
ক্ষমতায় আসার পরেই আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোকে দমনে নজর দেন তিনি।
নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী ভিড়ের মধ্যে হামলার জন্যে সবচেয়ে নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে, যা যুদ্ধ আইনের লংঘন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব ড্রোন হামলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শর্ত লংঘন করা হয়েছে। কারণ, এখানে বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হয়নি।
বুরকিনা সরকারের প্রতি অবিলম্বে এসব যুদ্ধাপরাধের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিও।
একই সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।