আইজিএডি’র সদস্যপদ স্থগিত করলো সুদান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানের সরকার শনিবার (২০ জানুয়ারি) বলেছে, তারা ইন্টারগভর্মেন্টাল অথরিটি অন ডেভেলপমেন্টের (আইজিএডি) সদস্যপদ স্থগিত করেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এই পূর্ব আফ্রিকান আঞ্চলিক ব্লকটি সুদানের যুদ্ধরত দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবারের ওই ঘোষণাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা করা হয়, যা সেনাপ্রধান এবং সুদানের ডি ফ্যাক্টো নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত বলে জানা গেছে।

সুদানের সেনাবাহিনী এবং র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) আধাসামরিক গোষ্ঠী নয় মাস ধরে এমন একটি যুদ্ধে জড়িত, যার কারণে সুদানের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সুদান সরকার চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করেছিল যে, তারা আগামী বৃহস্পতিবার উগান্ডায় আইজিএডি’র একটি বৈঠকের আগে ব্লকটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থগিত করতে যাচ্ছে।

কারণ, ওই বৈঠকে আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেদতি দাগালোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ব্লকটি।

ওই আমন্ত্রণ সুদানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন বলে ব্লকটিকে অভিযুক্ত করেছে সুদান।

যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের সমান্তরালে বার বার উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিল আইজিএডি, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

আরএসএফকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করার এবং নির্বাচনের দিকে একটি পরিবর্তন শুরু করার আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত পরিকল্পনার জন্য গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে যুদ্ধ শুরু হয় সুদানে।

২০১৯ সালে একটি জনপ্রিয় অভ্যুত্থানের সময় দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরে দেশটির সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল।

তারা সংঘাতে জড়ানোর আগে ২০২১ সালে যৌথভাবে একটি অভ্যুত্থান করেছিল, যা সুদানকে গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকে ব্যহত করেছিল৷

সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষই আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন এবং নির্বিচারে আটক সহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

আরএসএফকে এরই মধ্যে দারফুরে ব্যাপক লুটপাট, যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ধর্ষণ এবং জাতিগতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গণহত্যার জন্যও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের অনুমান অনুসারে, ওই সংঘাতে ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।