নিরাপত্তা জোট গড়লো মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো
সশস্ত্র বিদ্রোহ বা বিদেশী আগ্রাসনের সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য করার লক্ষ্যে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো।
ওই জোটের সনদে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাক্ষরকারীরা তাদের যেকোনও এক দেশের উপর আক্রমণের ক্ষেত্রে একে অপরকে সহায়তা করার জন্য অঙ্গীকার করেছে।
জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক বা একাধিক চুক্তিবদ্ধ পক্ষের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর যেকোনও আক্রমণ অন্যান্য পক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচিত হবে। এই জোট সশস্ত্র বিদ্রোহ প্রতিরোধ বা নিষ্পত্তি করতে কাজ করার জন্য তিনটি দেশকে একত্রিত করেছে।
মালির সামরিক নেতা আসিমি গোইতা তার এক্স-একাউন্টে বলেছেন, ‘আমি আজ বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে লিপটাকো-গৌরমা চার্টারে স্বাক্ষর করেছি, যাতে সাহেল রাজ্যের জোট গঠন করা হয়েছে। এই জোট একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা এবং পারস্পরিক সহায়তা কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।’
লিপতাকোর গৌরমা এমন একটি অঞ্চল, যেখানে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার সীমান্ত মিলিত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহ দ্বারা বিধ্বস্ত হয়েছে৷
মালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবদৌলায়ে দিওপ মালির রাজধানী বামাকোতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই জোট হবে তিনটি দেশের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রচেষ্টার সমন্বয়। তিন দেশের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের অগ্রাধিকার।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে উত্তর মালিতে শুরু হওয়া সশস্ত্র বিদ্রোহ ২০১৫ সালে নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোতে ছড়িয়ে পড়ে।