রাশিয়ায় পাড়ি জমালেন পুতিনের সঙ্গে নাচা অষ্ট্রিয়ার সাবেক মন্ত্রী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুতিনের সঙ্গে নাচের মুহূর্তে কারিন। ছবি : সংগৃহীত

পুতিনের সঙ্গে নাচের মুহূর্তে কারিন। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনিসল, যিনি ২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বিয়েতে নেচে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তিনি রাশিয়ার বৈদেশিক নীতি নির্ধারণী একটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গে পাড়ি জমিয়েছেন।

তাকে সিরিয়া থেকে রাশিয়ার সামরিক পরিবহন বিমানে করে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

বিজ্ঞাপন

দ্য মস্কো টাইমস জানিয়েছে, কারিন কেনিসল রাশিয়ার মূল সমস্যাগুলোর জন্য জিওপলিটিক্যাল অবজারভেটরির (গোর্কি) প্রধান হবেন। গোর্কি হলো সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা কেন্দ্র, যা চলতি বছর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং রাশিয়ার বৈদেশিক নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।

কারিন ২০১৮ সালে পুতিনকে তার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি পুতিনের সঙ্গে নেচে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছিলেন।

৫৮ বছর বয়সি কেরিন পরের বছর মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, কারিন তার নিজ দেশে একজন অত্যন্ত বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ফ্রান্সে চলে গিয়েছিলেন এবং রাশিয়া টুডের অতিথি কলামিস্ট হয়েছিলেন, যা ক্রেমলিনের প্রচারণার হাত হিসাবে ব্যাপকভাবে দেখা হয়।

তিনি দাবি করেন, তাকে সেখানে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি লেবাননের একটি ছোট গ্রামে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেছিলেন।

বিবিসি অনুসারে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, লেবাননে বসবাস করা বেঁচে থাকার জন্য একটি অস্থায়ী সমাধান ছিল।

কারিন একজন বিখ্যাত প্রাণীপ্রেমিক। তিনি বলেছিলেন যে, সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে, তার পোষ্য এবং অন্যান্য জিনিসপত্র রাশিয়ায় আনার জন্য একটি সামরিক পরিবহন বিমান ব্যবহার করাই ছিল তার একমাত্র উপায়।

গত সপ্তাহে রাশিয়ান অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট দ্য ইনসাইডারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার হমেইমিমে রাশিয়ার বিমান ঘাঁটি থেকে একটি সামরিক বিমানে কারিনসহ তার পোষ্যগুলোকে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

কারিন গত বুধবার এএফপিকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সিরিয়ার মধ্য দিয়ে ট্রাক চালানো আমার পক্ষে অসম্ভব ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে কোনও ফ্লাইট বা ডিএইচএল (শিপিং পরিষেবা) নেই।’

গত জুন মাসে কারিন গোর্কি সেন্টার উন্মোচন করেন। থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি রাশিয়ান ফেডারেশনের নিকটবর্তী এবং মধ্যপ্রাচ্যক কেন্দ্রীক নীতি নির্ধারণে সহায়তা করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তাস নিউজ এজেন্সি কারিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমি গোর্কি কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা করেছি এবং এটি পরিচালনা করেছি। যেহেতু সেখানে অনেক কাজ আছে এবং এর জন্য অনেক মনোযোগের প্রয়োজন, তাই আমি এই কাজটি লেবাননে থেকে করতে পারব না। আমি এই কাজের জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’