মরক্কোর পাহাড়ী অঞ্চলে মৃত ও আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে
দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের তিন দিন পর মরক্কোর এটলাস পর্বতমালার ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
মরক্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাতে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) আল-জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির মারাকেশ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে শুক্রবার গভীর রাতে আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ২,৪৯৭ জন মারা গেছে এবং প্রায় ২,৪৭৬ জন আহত হয়েছে।
এদিকে মারাকেশ থেকে আল-জাজিরার রিপোর্টার জোনাহ হুল বলেছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘পাথরের পতনের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকারীরা ওই পাথর সরাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মৃতদেহগুলো কম্বলে ঢাকা অবস্থায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। কিছু ক্ষেত্রে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী অপারেশনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার, তাঁবু এবং কম্বল নিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, মরক্কোর সিনেটর এবং সাবেক পর্যটন মন্ত্রী লাচেন হাদ্দাদ বিবিসিকে বলেছিলেন যে, এটলাস পর্বতমালার প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি বলেছিলেন, সেখানকার শতাব্দী প্রাচীন ভবনগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পাহাড়ে অবস্থিত।
হাদ্দাদ আরও জানান, ‘তবুও, সেনাবাহিনীসহ উদ্ধারকারী দলগুলো অনেক গ্রামে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা সেখানে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে জীবিত ও মৃতদের খুঁজে বের করছে।’
মরক্কোর সেনাবাহিনী গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলোর একটির প্রধান রাস্তা পরিষ্কার করে সেখানকার মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে।
হাদ্দাদ আশা প্রকাশ করেছেন যে, আরও অনেক মানুষকে জীবিত পাওয়া যাবে। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা সম্ভবত বাড়তে পারে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বর্তমানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে পরে আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।