রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করেছে জি-২০ : ইমানুয়েল মাখোঁ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইমানুয়েল মাখোঁ ও নরেন্দ্র মোদি৷ ছবি : সংগৃহীত

ইমানুয়েল মাখোঁ ও নরেন্দ্র মোদি৷ ছবি : সংগৃহীত

ভারতের নয়াদিল্লিতে অুনষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের ঘোষণা রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

জি-২০ নেতারা একটি ১০০ শতাংশ সর্বসম্মত ঘোষণা প্রকাশ করার একদিন পরে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি ওই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, জি-২০ নেতাদের শনিবারের ঘোষণায় সব রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখার বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই ঘোষণায় সব রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অধিগ্রহণের জন্য হুমকি বা বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর ওই ঘোষণার মাধ্যমে রাশিয়ার বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত হয়েছে।’

মাখোঁ আরও বলেন, ‘জি-২০ নেতারা ইউক্রেনে ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তির বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এ ছাড়াও ‘শান্তির কথার’ জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাখোঁ।

এদিকে, ফরাসি সূত্র বলেছে, ‘বর্তমান বিশ্বে ভারত এক ধরনের শক্তি। বিশ্বের দেশগুলোকে একত্রিত করার ক্ষমতা ভারতের রয়েছে। আজ পৃথিবীতে এমন অনেক দেশই নেই, যারা যুদ্ধরত দলগুলোকে একটি সাধারণ টেবিলে আনতে পারে।’

এদিকে, জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

ভারতীয় জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ওয়ারধার কাছে সেবাগ্রাম আশ্রমে অবস্থিত বাপু কুটি। ১৯৩৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল মহাত্মা গান্ধীর বাসভবন। নরেন্দ্র মোদিকে রবিবার বিশ্বনেতাদেরকে বাপু কুটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে দেখা যায়। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতারা লিডারর্স লাউঞ্জে ‘পিস ওয়ালে’ স্বাক্ষর করেন।