মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ালো
মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ওই দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছানো বেশ কঠিন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় আটলাস পর্বতমালার কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এই তথ্য জানায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও রাস্তায় ধ্বংসস্তূপের চিত্র দেখা যাচ্ছে, তবে এগুলোর সত্যতা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষ করে ভবন পড়ে যাচ্ছে এমন কিছু ভিডিও দেখা গেলেও বিবিসি এগুলো সম্পর্কে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
তবে লোকজনকে সতর্ক সংকেত শুনে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে দেখা গেছে। একজন স্থানীয় কর্মকর্তা তার এলাকাতে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন।
মারাক্কেশ শহরের পুরনো অংশে কিছু ভবন ধসে পড়েছে বলে সেখানকার একজন অধিবাসী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দা মনতাসির ইত্রি জানান, পাহারের বেশিরভাগ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে এবং গ্রামের লোকেরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর মরক্কোকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
তিনি এক্স-এ এক বার্তায় লিখেছেন, ‘আমরা এই কঠিন সময়ে আমাদের মরক্কোর ভাইদেরকে সব রকমের সাহায্য ও সমর্থন করব।’
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র টোমাসো ডেলা লঙ্গা বলেছেন, জরুরী প্রতিক্রিয়া ইউনিট বলে খ্যাত আইএফআরসি দলগুলোকে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মরক্কোতে মোতায়েন করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ওই দলের কর্মীরা ত্রাণ, পানি, স্যানিটেশনসহ স্বাস্থ্যসেবার মতো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিশেষজ্ঞ।’
টোমাসো ডেলা লঙ্গা জেনেভা থেকে আল-জাজিরাকে জানান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এই দলগুলোকে একত্রিত করে সেখানে পাঠানো সম্ভব।
তিনি আরও জানান, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে প্রথম ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।