গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুক্ত
গৃহবন্দী থেকে মুক্তি পেয়েছেন মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো। তিনি চাইলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গোকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
আল- জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, আলি বঙ্গোর স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তার চলাফেরা স্বাধীন করা হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে মেডিকেল চেকআপের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে গ্যাবনের সামরিক মুখপাত্র কর্নেল উলরিচ মানফুম্বি একথা জানান।
গৃহবন্দি থেকে বঙ্গোর মুক্তির ঘোষণার বিবৃতিতে জেনারেল ব্রিস ক্লোটেয়ার ওলিগুই এনগুইমা স্বাক্ষর করেছেন, যিনি সোমবার গ্যাবনের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওলিগুই এনগুইমা বঙ্গোর চাচাতো ভাই। যিনি বঙ্গোর প্রয়াত পিতার দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশটির একটি অভিজাত সামরিক ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
সোমবার শপথ নেওয়ার পর ওলিগুই বলেছেন, সামরিক বাহিনী সহিংসতা ছাড়াই দেশের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে এবং বিশ্বাসযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে।
অভ্যুত্থানকে গ্যাবনের জনসাধারণ স্বাগত জানালেও আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিন্দা করেছে।
১৯৬৭ সালে তেল সমৃদ্ধ দেশটির প্রেসিডেন্ট হয় বঙ্গোর বাবা ওমর। তার মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে প্রথম দায়িত্ব গ্রহণ করেন বঙ্গো।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের অভাবে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। পরে বঙ্গোর সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ।ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য এটি প্রয়োজনীয় বলে দেশজুড়ে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করে।