‘জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের জন্য আমরা এখনই প্রস্তুত’

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জম্মু ও কাশ্মীরে দায়িত্ব পালনরত এক ভারতীয় সেনা। ছবি : সংরক্ষিত

জম্মু ও কাশ্মীরে দায়িত্ব পালনরত এক ভারতীয় সেনা। ছবি : সংরক্ষিত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে হয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু, কবে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে? এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) অবহিত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার বিরোধী মামলার বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) শুনানি চলাকালীন আদালকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে যেকোনও সময় নির্বাচন আয়োজনে তারা প্রস্তুত।

বিজ্ঞাপন

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘ভোটার তালিকা আপডেট করার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যেকোনও সময় জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের জন্য আমরা এখনই প্রস্তুত।’

তিনি আরও জানান, আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচন হবে। তারপর হবে বিধানসভা নির্বাচন। তবে নির্দিষ্ট কোনও সময়ের উল্লেখ করেনি কেন্দ্র সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। বিগত পাঁচ বছর ধরে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীন।

এটি অবশ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। ওই দিন সংসদে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ প্রত্যাহার করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয় এবং অস্থায়ীভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।

এদিকে, পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার পর বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০। আগে অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের আসন সংখ্যা ছিল ১১১। তার মধ্যে বর্তমান জম্মু ও কাশ্মীরের আসন সংখ্যা ছিল ৮৩।

অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান এবং বিচারপতি এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ।