দ্বিতীয় মেয়াদে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নানগাগওয়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এমারসন নানগাগওয়া দামবুদজো। ছবি : সংগৃহীত

এমারসন নানগাগওয়া দামবুদজো। ছবি : সংগৃহীত

জিম্বাবুয়ের বিরোধী দলের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা এবং পর্যবেক্ষকদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলাফলে দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত মেয়াদে জয়লাভ করেছেন এমারসন নানগাগওয়া দামবুদজো।

এক সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির দীর্ঘদিনের নেতা রবার্ট মুগাবের কাছ থেকে ২০১৭ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নানগাগওয়া। তখন ব্যাপকভাবে আশা করা হয়েছিল যে, দেশের অব্যাহত অর্থনৈতিক সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও তিনি পুনরায় স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করবেন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্লেষকরা আল-জাজিরাকে বলছেন, নির্বাচনটি জানু-পিএফ পার্টির পক্ষে প্রবলভাবে প্রভাবিত ছিল।

জিম্বাবুয়ে ইলেক্টোরাল কমিশন (জেডইসি) দ্বারা শনিবার (২৬ আগস্ট) দেরিতে ঘোষিত আনুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে নানগাগওয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নেলসন চামিসা পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট। পক্ষান্তরে, নানগাগওয়া পেয়েছেন ৫২.৬ শতাংশ ভোট।

বিজ্ঞাপন

শনিবার জেডইসির চেয়ারপারসন এবং বিচারপতি চিগুম্বা সাংবাদিকদের বলেন, জানু-পিএফ দলের নানগাগওয়া এমারসন দামবুদজোকে জিম্বাবুয়ে প্রজাতন্ত্রের যথাযথভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হলো। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর উল্লাস প্রকাশ করেন।

কিন্তু, বিরোধীদের অভিযোগ হলো নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা ঠেকাতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা।

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চামিসার দল সিটিজেন কোয়ালিশন ফর চেঞ্জের (সিসিসি) মুখপাত্র প্রমিস ম্যাকওয়ানানজি বলেছেন, তার দল চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর করেনি। তিনি ওই নির্বাচনকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা ফলাফল মেনে নিতে পারছি না এবং আমরা শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবো।’

বিদেশী নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা শুক্রবার বলেছেন, ওই নির্বাচন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক মিশনের প্রধান শুক্রবার বলেছেন, ‘ভোটটি ভয়ের পরিবেশে হয়েছে।’

ওই নির্বাচনে ভোটগ্রহণে বিলম্ব, ভোটার তালিকার সমস্যা, বিরোধী সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং পক্ষপাতদুষ্ট রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কভারেজসহ নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক এসএডিসির মিশন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিজয়েস এনগুয়েনিয়া বলেছেন, ‘নির্বাচনটি অনিয়মে ভরা ছিল, যা জিম্বাবুয়ের জনগণকে ক্ষুব্ধ করেছে। আদালতে গিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সিসিসি-এর ভালো ভিত্তি রয়েছে।’

জানু-পিএফ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, কারচুপির কথা তুলে বিরোধীরা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে৷

উইটওয়াটারসরান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রভাষক নিকোল বিয়ার্ডসওয়ার্থ বলেন, ‘জেডইসি যে গতিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছে, সে সম্পর্কে আমাদের সকলের অনেক প্রশ্ন রয়েছে।’