নাইজারের সদস্যপদ স্থগিত করলো আফ্রিকান ইউনিয়ন
নাইজারে বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত দেশটির সদস্যপদ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্থগিত করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)।
এনডিটিভি জানিয়েছে, দৃঢ় মতপার্থক্যের পর এইউ কমিশনকে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তার প্রভাব মূল্যায়ন করে কাউন্সিলে প্রতিবেদন জমা দিতে অনুরোধ করেছে ব্লকটির শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ।
প্রসঙ্গহত, নাইজারের সেনা কর্মকর্তারা গত ২৬ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে পদচ্যুত করেন। এরপরই পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোওয়াস তাকে পুনর্বহাল করার জন্য শক্তি প্রয়োগের হুমকি দেয়।
দ্য ইকোনোমিক কমিউনিটি অর ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার শেষ উপায় হিসাবে সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে একমত হয়েছে৷
ব্লকটি বলেছে, সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের বিকল্প হিসাবে তারা কূটনৈতিক সমাধানের পথও খোলা রেখেছেন।
সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে ব্লকের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতামতের পটভূমিতে গত সপ্তাহে চলমান সঙ্কটের বিষয়ে একটি বৈঠক করেছে এইউ।
নাইজারের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান সাহেল অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ, এই অঞ্চল আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ক্রমবর্ধমান জিহাদি বিদ্রোহের মুখোমুখি হচ্ছে।
২০২০ সালে বুরকিনা ফাসো, গিনি এবং মালির পর নাইজার হল পশ্চিম আফ্রিকার চতুর্থ দেশ, যারা অভ্যুত্থানের শিকার হলো।
বুরকিনা ফাসো এবং মালির জান্তারা বলেছে, তাদের প্রতিবেশী দেশে যেকোনও সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বলে বিবেচিত হবে।
দরিদ্র রাষ্ট্র নাইজার ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির ইতিহাসে এটি পঞ্চম অভ্যুত্থান। ২০২১ সালের নির্বাচনে বাজুমের জয়লাভ দেশটিতে প্রথম শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার স্থানান্তরের পথ খুলে দিয়েছিল।
অভ্যুত্থানের পর থেকে তাকে তার পরিবারের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। বন্দী অবস্থায় তার অবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে।