প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেলেন মিশরের অধিকারকর্মী দৌমা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধিকারকর্মী আহমেদ দৌমা। ছবি : সংগৃহীত

অধিকারকর্মী আহমেদ দৌমা। ছবি : সংগৃহীত

মিশরের বিশিষ্ট অধিকারকর্মী আহমেদ দৌমাসহ বেশ কয়েকজন বন্দিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

এ খবর নিশ্চিত করেছে মিশরের রাষ্ট্রীয় টিভি এবং ক্ষমাপ্রাপ্তদের আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সি দৌমা গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০১৯ সালে দাঙ্গা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বিষয়ক কমিটির সদস্য আইনজীবী তারেক ইলাওয়াদি বলেছেন, ‘দৌমাসহ বেশ কয়েকজন বন্দিকে ক্ষমা করার জন্য প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি তার সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিশিষ্ট অধিকার আইনজীবী খালেদ আলী শনিবার (১৯ আগস্ট) সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, তিনি কায়রোর উপকণ্ঠে বদর কারাগারের বাইরে অধিকারকর্মীদের মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন।

বিচারের রায় প্রদানের সময় বিচারক বলেছিলেন, দৌমা ওই জনতার অংশ ছিলেন, যারা সংসদে প্রবেশ করে এর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল। তাদের ওই হামলাকে শয়তানের কাজ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন আদালত।

মিশরের অন্যান্য বিশিষ্ট কর্মীদের মতো, দৌমাও মুবারক পরবর্তী ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের আমলে কারাগারে বন্দী হন।

এই অধিকারকর্মী ২০২১ সালে ‘কার্লি’ শিরোনামের একটি কবিতার সংকলন প্রকাশ করেছিলেন। তখন তিনি নির্জন কারাগারে বন্দী ছিলেন।

কবিতার সংকলনটি ওই বছরের কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রদর্শিত হয়েছিল। কিন্তু, নিরাপত্তার কারণে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়েছিল সংকলনটি।

দৌমা কারাগার থেকে তার একটি কবিতায় লিখেছেন, ‘হতাশার সময় নেই, দুঃখের সুযোগ নেই, অন্যায়ের বন্যা চলছে।’

২০১৩ সালে মুবারকের উত্তরসূরি মোহাম্মদ মুরসিকে সামরিক বাহিনী কর্তৃক অপসারণের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।