মালি সীমান্তের কাছে নাইজারের ১৭ সেনা নিহত
মালির সীমান্তের কাছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নাইজারের অন্তত ১৭ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দেরীতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, ‘নাইজেরিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর (এফএএন) একটি বিচ্ছিন্ন দল বনি এবং তোরোদির মধ্যে সংযোগ স্থানকারী কাউতুগু শহরের কাছে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওই হামলায় ১৭ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১০ জন সেনা আহত হয়েছে। তাদের সবাইকে রাজধানী নিয়ামেতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, শতাধিক হামলাকারী তাদের ওই দলটির পেছন থেকে হামলা চালায়।
গত দশকে মধ্য মালি, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজার একত্রিত করা সীমান্তের সাহেল অঞ্চল আল-কায়েদা এবং আইএসআইএলের (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।
২০২০ সালে তিনটি দেশেরই ক্ষমতা দখল করেছে যার যার সামরিক বাহিনী। সর্বশেষ নাইজারের সেনাবাহিনী গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে অপসারণ করে ক্ষমতা দখল করে।
দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারও উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া থেকে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মূলত বোকো হারামের প্রচারণার অনুসারী।
এদিকে নাইজারের অভ্যুত্থানের নেতারা বলেছেন, দেশের বাজে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং খারাপ শাসনের কারণে বাজুমের ক্ষমতাচ্যুতি হয়েছে।
কিন্তু, আল-জাজিরার আহমেদ ইদ্রিস নিকটবর্তী নাইজেরিয়ার আবুজা জানিয়েছেন, নাইজেরিয়ার সামরিক সরকার ফরাসি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি প্রত্যাহার এবং নিয়ামির অন্যান্য অংশীদারদের সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নাইজারের জনগণের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
আহমেদ ইদ্রিস বুধবার বলেন, সাহেলে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আক্রমণের ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলো মোকাবিলা করতে সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রের উত্স ঠিক রাখা নাইজারের পক্ষে এখন কঠিন হবে। নিজেদের সামরিক দক্ষতা বাড়াতে দেশটিকে মালি এবং বুরকিনা ফাসোর মতো দেশগুলোর উপর নির্ভর করতে হতে পারে।