রাহুলের সাজা স্থগিত হলো সুপ্রিম কোর্টে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাহুল গান্ধী। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া দুই বছর কারাদণ্ডের রায় আজ শুক্রবার স্থগিত করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

‘মোদী উপাধি' মন্তব্যের জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের একটি আদালত।

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভি জানিয়েছে, সুরাটের আদালতের বিচারক এই মামলায় রাহুলকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা দিয়েছিল।

আজ শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী কী কারণে রাহুলকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেটার কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি গুজরাটের নিম্ন আদালতের বিচারক। ওই সাজার ফলে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।

রাহুলের সাংসদপদ খারিজ হওয়ার প্রভাব শুধুমাত্র তার উপর পড়ে না। বরং তার সংসদ এলাকার মানুষের উপরও পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাজার উপর স্থগিতাদেশের প্রয়োজন আছে। সেইসঙ্গে রাহুলের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে, সেরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের নির্দেশের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে, তা ব্যর্থ হয়েছে।’

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছেন, ‘যাবতীয় সওয়াল-জবাব শোনা হয়েছে। নির্দিষ্ট আদালতে মামলাটি বিচারাধীন আছে। ওই বিচারাধীন মামলার উপর যাতে কোনওরকম প্রভাব না পড়ে, সেজন্য মামলার ভিত্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করবে না শীর্ষ আদালত। তবে নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।’

শীর্ষ আদালত বলেছেন, ‘এই আদালতের একটি মন্তব্য ছাড়া ট্রায়াল কোর্টের বিচারক কোনও নির্দিষ্ট কারণ দেননি যে, কোন কারণে তিনি সর্বোচ্চ সাজা দিচ্ছেন। যদি সাজার মেয়াদ একদিনও কম হত, তাহলে রাহুলের সাংসদপদ খারিজের নিয়ম কার্যকর হত না।’

রাহুলের শাস্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হলেও কংগ্রেস নেতাকে জনসমক্ষে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল কর্ণাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী প্রচারণায় রাহুল বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরেদের পদবি মোদি হতে পারে?’

ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী।

তার দাবি ছিল, মোদি পদবির সব মানুষকে অপমান করেছেন রাহুল। যদিও রাহুল বরাবরই দাবি করে এসেছেন যে, কোনও সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্য করেননি তিনি।