যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের 'হ্যা', আজ রাত বা কালকে ঘোষণা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, এ বিষয়ে হামাস এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত জবাব দেয়নি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেশকিছু গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির চুক্তিতে একমত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। আর আগামী রোববার থেকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করবে হামাস।
ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এবং এএফপি জানিয়েছে, হামাস এই চুক্তির জন্য মৌখিক অনুমোদন দিয়েছে। রয়টার্সের মতে, হামাস এখনও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের লিখিত প্রতিক্রিয়া জানায়নি। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এখনও হামাসের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পায়নি।
ইসরায়েলি ওয়ালা নিউজ সাইট দেশটির এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “দোহাতে জিম্মি চুক্তির আলোচনায় দুই পক্ষ একমতে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সামরিক নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার সম্মতি দিয়েছেন।
কান নিউজ বলেছে, ইসরায়েলি মন্ত্রীরা বুধবার রাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভোটের জন্য তাদের সময়সূচী নির্ধারণ করেছেন। তবে এখনও মন্ত্রিসভার কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে ভোট পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
কানের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আলোচনা অগ্রসর হয়েছে। আগামীকালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
সূত্র অনুসারে, হামাস নেতারা বুধবার ভোরে একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সব সমস্যার সমাধান করা হয়। এর মধ্যে হামাস ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা থেকে তার সব পরিকল্পনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বিভিন্ন হিব্রু মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, রোববারের প্রথম দিকে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তবে চুক্তিটি আগে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ও পরে পূর্ণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হতে হবে।
কিন্তু এক আরব কূটনীতিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল চুক্তির খুব কাছাকাছি আছে। তিনি বিষয়টিকে ‘সুপার ক্লোজ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।