অং সান সু চির সাজার মেয়াদ কমলো

  • ziaulziaa
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের গনতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের গনতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের গনতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আনা ১৯টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে ক্ষমা করা হয়েছে।

ওই ১৯টি মামলায় সু চির মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। এই ক্ষমার কারণে তার সাজা ছয় বছর কমবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

সুচির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট দুটি অভিযোগ থেকে ক্ষমা পাওয়ার পরে তার সাজাও কমানো হয়েছে।

এর আগে সাধারণ বন্দীদের ক্ষমা ঘোষণা করা হলেও এই প্রথম সু চি এবং মিন্টকে ক্ষমার আওতায় আনলো দেশটির সামরিক সরকার।

ওই ক্ষমা ঘোষণাকে জান্তা সরকারের থমকে যাওয়া কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত সপ্তাহে সু চিকে মিয়ানমারের রাজধানী নে পি তাওয়ের কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী করা হয়।

৭৮ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চিকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাকে আটক করা হয়।

ওই সামরিক অভ্যুত্থান দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত করে এবং তাতে প্রাণ হারায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।

সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের শাসনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলা চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।

কিছু দেশ, বিশেষ করে চীন এবং থাইল্যান্ড জান্তার সঙ্গে একটি সংলাপ শুরু করেছে।

কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী সু চি'র দলকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার কারণে এই উদ্যোগগুলো সমালোচিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমঝোতার যেকোন আলোচনার জন্য প্রায় নিশ্চিতভাবেই সুচির অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

কিন্তু, অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তার অবস্থা সম্পর্কে প্রায় কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

সু চি'র বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতি থেকে শুরু করে দুর্নীতি পর্যন্ত নানা অভিযোগ আনা হয়েছে, যা তিনি বরাবরই অস্বীকার করেছেন।