নেপালের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নাটকীয় পটপরিবর্তনে আবারও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দাহাল।

গত মাসের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে প্রচণ্ডের দলের। দুই দল থেকেই ভাগাভাগি করে হবেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রচণ্ডের দাবি মেনে তাকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সায় দিয়েছেন ওলি। তাই এখন প্রচণ্ডই হচ্ছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালেই নেপালি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দলের জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন প্রচণ্ড। এর পর ওলির বাসকোটের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-এমসি, ওলির নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউএমএল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি) এবং অন্য ছোট ছোট দল।নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে দলগুলো।

সিপিএন-এমসি নেতা দেব গুরুঙ্গ জানান, নেপালের সংবিধানের ৭৬ (২) ধারা মেনে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতা চুক্তিতে সই করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে সেই চুক্তি পাঠানো হবে।

নেপালে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য সংখ্যা ২৭৫। সেখানে ১৬৫ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। তার মধ্যে সিপিএন-ইউএমএলের ৭৮ জনের সমর্থন পেয়েছে নতুন জোট সরকার। প্রচণ্ডের দল সিপিএন-এমসির ৩২ জনের সমর্থন রয়েছে। আরএসপির ২০ জন, আরপিপির ১৪ জন, জেএসপির ১২ জন, জনমত দলের ৬ জন এবং নাগরিক উন্মুক্তি পার্টির ৩ জনের সমর্থন রয়েছে।

সিপিএন-ইউএমএলের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর পোখারেল বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও নেপালি কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি। এখন প্রচণ্ডের নেতৃত্বে সিপিএন-ইউএমএলের নতুন সরকার গড়তে উদ্যোগী হয়েছে। তাতে সমর্থন রয়েছে ১৬৫ জন আইনপ্রণেতার।

প্রসঙ্গত, নেপালের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হল নেপালি কংগ্রেস। তাদের আসন সংখ্যা ৮৯। সরকার গড়ার জন্য ১৩৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে নতুন জোট সরকারের ১৬৫ জনের সমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে প্রচণ্ডকে।