আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করল বিদেশি এনজিও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নারীরা এনজিওতে কাজ করতে পারবে না তালেবান কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে তিনটি প্রধান এনজিও তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, নারী কর্মী ছাড়া তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, নারীদের কাজ করার অধিকার দিতে হবে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানরা ক্রমাগত নারীদের অধিকার হরণ করছে। খবর বিবিসির।

এর আগে, হিজাব না পরার কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি এনজিওতে নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করে তালেবান। এমনকি এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা এনজিওতে কাজ করতে পারবেন না। কারণ, অনেক নারী ইসলামি পোশাকরীতি মেনে কর্মক্ষেত্রে আসছিলেন না।

কেয়ার, এনআরসি এবং সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, নারী কর্মীরা না থাকলে আমরা আগস্ট ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত লাখ লাখ আফগানদের কাছে পৌঁছাতে পারতাম না।

জাতিসংঘের শীর্ষ মানবিক সমন্বয়কারী রমিজ আলাকবারভ বলেছেন, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার চেষ্টা করছে। এ নিষেধাজ্ঞা সমগ্র মানবিক সম্প্রদায়ের জন্য সতর্কবার্তা।

সেভ দ্য চিলড্রেনের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, তারা এ নিয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। কিন্তু নারীদের যদি কাজ করতে দেয়া না হয়, তাহলে হয়তো তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলতে হবে।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাজে নারী ও শিশুদের কাছে সেবা পৌঁছানোর জন্য নারী কর্মী থাকা অত্যাবশ্যক বলেছেন, কেয়ার ইন্টারন্যাশনালের একজন কর্মকর্তা মেলিসা কর্নে।

এ সপ্তাহেই আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সে দেশের নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করে এবং প্রাইভেট টিউশন কেন্দ্রগুলোর প্রতি আদেশ দেয়, যেন তারা কোন ছাত্রীকে শিক্ষাদান না করে। সেই নির্দেশও ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।