পশ্চিমাদের একক আধিপত্যের যুগ শেষ হচ্ছে: পুতিন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক দশকের মুখোমুখি হচ্ছে। তার মতে, বিশ্বমোড়ল হিসেবে পশ্চিমাদের একক অধিপত্যের যুগ ফুরিয়ে আসছে। গড়ে উঠছে নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ভালদাই ডিসকাসন ক্লাবে দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমা ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সংঘাত সূচনার অভিযোগ তুলে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা একটি বিপজ্জনক, রক্তাক্ত ও নোংরা ভূরাজনৈতিক খেলা খেলছে, যা বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে।

এ সময় পশ্চিমের বিরুদ্ধেও ‘পরমাণু ব্ল্যাকমেইলের’ অভিযোগ আনেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, রাশিয়ার পাশ থেকে মিত্রদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিতেই এ কাজ করেছে পশ্চিম।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘বিপ্লবী’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পশ্চিম এখন আর ক্ষমতায় থাকতে পারছে না, কিন্তু সেটির জন্য ‘মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শেষ পর্যন্ত বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাশিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ পরাশক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে পশ্চিমাদের।

পুতিন বলেন, বিশ্বে পশ্চিমাদের ঐতিহাসিক আধিপত্যের যুগ ফুরিয়ে আসছে। আমরা এক ঐতিহাসিক সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে আছি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বিপজ্জনক, অনিশ্চিত, একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দশক সামনে রয়েছে।পুতিন বলেন, ভবিষ্যৎ বিশ্বব্যবস্থা আমাদের চোখের সামনে গড়ে উঠছে।

এর আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন বিস্ফোরক তেজস্ক্রিয় পদার্থ দিয়ে সজ্জিত ‘ডার্টি বম্ব’ ব্যবহার করতে পারে। এ সপ্তাহের শুরুতে ন্যাটো সামরিক জোট রুশদের এ দাবির ব্যাপারে নিন্দা জানায়।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ন্যাটো সামরিক জোট রাশিয়ার অপ্রমাণিত দাবির নিন্দা করেছে যে ইউক্রেন একটি "নোংরা বোমা" ব্যবহার করতে পারে - তেজস্ক্রিয় উপাদান দিয়ে সজ্জিত প্রচলিত বিস্ফোরক।

ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোটের সদস্যরা তাদের (রাশিয়া) এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এবং রাশিয়া অবশ্যই এটিকে উসকানি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত হবে না।

পুতিন আরও বলেছেন, বর্তমান মুখোমুখি অবস্থানের পরও পশ্চিমাদের রাশিয়ার শত্রু হিসেবে মনে করে না মস্কো।