লিজ ট্রাস অধ্যায় শেষ, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। অথচ একদিন আগেই বলেছিলেন, যে যা-ই বলুক হাল ছাড়ার লোক নই আমি। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। যুদ্ধংদেহী ভাবমূর্তির সেই লিজ় ট্রাসের আত্মবিশ্বাসে টোল পড়ল মাত্র ৮৯ সেকেন্ডেই। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে আচমকা তার পদত্যাগের পরই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। উঠে আসছে একাধিক নাম। তবে এ ক্ষেত্রে দৌড়ে প্রথমেই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লিজ় ট্রাসের বিপরীতে লড়েছিলেন ঋষি। কিন্তু তাকে পরাজিত করে মসনদে বসেন ট্রাস। ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দপতন। দলের মধ্যেই ট্রাসকে নিয়ে বিরোধিতা মাথা চাড়া দিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি। কেউ কেউ বলছেন, অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমালোচিত হওয়ার পরেই ট্রাসের পদত্যাগ এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ব্রিটেনের রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এর পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

বিজ্ঞাপন

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ঋষি সুনকের পরেই উঠে আসছে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী পেনি মর্ডন্টের নাম। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের চতুর্থ এবং পঞ্চম রাউন্ডে সংসদ সদস্যদের ভোট অনুযায়ী সুনকের পরেই ছিলেন তিনি। দলেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এছাড়া, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জেরেমি হান্ট। কিন্তু তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রাস জানান, পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। তবে আগামী সপ্তাহেই হবে নির্বাচন।

ট্রাস বলেন, আজ সকালেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে। পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহেই একটি নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করবে ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা পরবর্তী নেতৃত্ব।

ট্রাসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। শপথ নেওয়ার দিন থেকে ইস্তফা পর্যন্ত মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব সামলেছেন।