আফ্রিকায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষুধাপীড়িত: ডব্লিউএফপি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে চরম ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে আফ্রিকায় ক্ষুধার্ত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, হর্ন অব আফ্রিকায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষুধাপীড়িত।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ইথিওপিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর কেনিয়া, দক্ষিণ-মধ্য সোমালিয়া জুড়ে চরম খরা দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে পশুপালন ও কৃষির ওপর। আগামী মাসগুলোতে গড় বৃষ্টিপাত আরও কম হওয়ার পূর্বাভাস ইতিমধ্যেই ভয়ানক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছে।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব আফ্রিকার ডব্লিউএফপি আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছেন, খরার কারণে ফসল নষ্ট হচ্ছে, গবাদিপশু মারা যাচ্ছে এবং এর প্রভাবে হর্ন অব আফ্রিকায় ক্ষুধাপীড়িত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরির জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের ধারাবাহিক সমর্থন প্রয়োজন।

পরপর তিনবার বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে এবং অস্বাভাবিকভাবে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং কৃষি শ্রমিকের কম চাহিদা মানুষের খাদ্য কেনার ক্ষমতা হ্রাস করেছে।

ডব্লিউএফপি বলেছে, অপুষ্টির হারও এই অঞ্চলে উচ্চ। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। জাতিসংঘ বারবার সশস্ত্র সহিংসতা প্রবণ ভঙ্গুর এ অঞ্চলে দীর্ঘায়িত খরার বিষয়ে সতর্ক করেছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় ছয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে হর্ন অব আফ্রিকায়।

গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আফ্রিকা জুড়ে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র সীমায় চলে যাবে।