জাতিসংঘের ২ বিশেষজ্ঞকে হত্যা: কঙ্গোতে ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ২ জন বিশেষজ্ঞকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫১ মিলিশিয়া সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় হত্যায় জড়িতদের অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে দেশটির কাসাই অঞ্চলে সুইডিশ-চিলিয়ান নাগরিক জাইদা কাতালান ও মার্কিন নাগরিক মাইকেল শার্পকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়। সরকারি বাহিনী ও মিলিশিয়া দলের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর তারা ২ জন একটি কথিত গণকবরের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তাদের দোভাষী বেটু তিন্তেলাও নিহত হন। অপহরণের ১৬ দিন পর তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে শেষ হওয়া কাসাইয়ের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। এই যুদ্ধের ফলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ২০১৬ সালের আগস্টে কাসাইয়ের ঐতিহ্যবাহী নেতা কামউইনা সাপুকে হত্যার পর এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

জাতিসংঘ সেই সময়ে এই হত্যাকাণ্ডে হতবাক হয়েছিল এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, সংস্থাটি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

চার বছরের বিচার শেষে দেশটির একটি সামরিক আদালত আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের রায় দেয়।

কঙ্গোতে যেহেতু ২০০৩ সাল থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেহেতু সাজাগুলো সম্ভবত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হবে।

এএফপি নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও হত্যা থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।