ছায়ানট কলকাতা ও পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরি

  • কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছায়ানট কলকাতা'র সভাপতি শিল্পী সোমঋতা মল্লিকপাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরিতে। ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছায়ানট কলকাতা'র সভাপতি শিল্পী সোমঋতা মল্লিকপাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরিতে। ছবি: বার্তা ২৪.কম

২০০৮ সালের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ছায়ানট (কলকাতা) পথচলা শুরু করে। কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টির বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে কলকাতার বুকে কয়েকজন নজরুলপ্রেমী একত্রিত হয়ে শুরু করেছিলেন ছায়ানট।

শুধু মাত্র কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিবস কিংবা প্রয়াণদিবস পালন করা নয়, সারাবছর ধরেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে ছায়ানট। দুর্গা পুজোর প্রাক্কালে ছায়ানটের পক্ষ থেকে সোমঋতা মল্লিকের তত্ত্বাবধানে কলকাতার পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরিতে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ৩৫টি বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাটুলির এই স্টিট লাইব্রেরি পথচলা শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র কিংশুক হালদারের ইচ্ছেতেই তার বাবা কালীপদ হালদার ও মা কুমকুম হালদার এই গ্রন্থাগারের সূচনা করেন। ছেলে কিংশুকের কাছেই তাঁরা প্রথম জানতে পারেন, আশেপাশের বন্ধুদের মোবাইলে আসক্তির কথা। তাই সকলের, বিশেষ করে শিশুদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই তাঁরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কেউ যদি চান নিখরচায় এই গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়ে আবার ফেরত দিয়ে আসতে পারেন। শুধুমাত্র নাম এবং ফোন নম্বর নথিভুক্ত করালেই চলবে, আবার কেউ চাইলে নিজের বই সকলের পড়ার জন্য রেখেও আসতে পারেন।

এইভাবে আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ার প্রত্যাশী হালদার পরিবার। প্রথমে বাড়ির পরিত্যক্ত ফ্রিজকেই বই রাখার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সময় যত এগিয়েছে, বইয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। নতুন ভবন তৈরীর কাজ খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। শিশুদের সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল উপহার দিতে তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন।

কলকাতার বহু গুণী মানুষ এই উদ্যোগের পাশে আছেন। ভবিষ্যতে ছায়ানট (কলকাতা), পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরির সাথে যৌথভাবে বেশ কিছু কাজ করবে-এমনটাই আশা করছেন ছায়ানট কলকাতার সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। তিনি বলেন, “কলকাতার বুকে এ এক অভিনব উদ্যোগ। আমরা সবসময় এই ধরনের উদ্যোগের পাশে আছি। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষে, পাটুলি স্ট্রিট লাইব্রেরির সাথে যৌথভাবে একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও আমরা গ্রহণ করেছি। সকলকেই এই লাইব্রেরি পরিদর্শন করার অনুরোধ জানাই।”