স্বল্পতার কারণে নিজের দেশের মানুষকে আগে টিকা দিয়ে পরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রফতানি করবে ভারত। তাই আগামী অক্টোবর পর্যন্ত ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে পারে দেশটি।
ভারত সরকারের তিনটি সূত্রের বরাতে এমন খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কোভ্যাক্স উদ্যোগে সহ-নেতৃত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সোমবার (১৭ মে) ভারতের ভ্যাকসিন না পাওয়া সৃষ্ট ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দেশের উৎপাদনকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র তিনটি জানায়, ভারত করোনার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড। প্রতিদিনই রেকর্ড হারে মানুষজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটিতে টিকাদান এখন অগ্রাধিকার পাবে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সব দেশকে সরকারিভাবে আমাদের জানানোর দরকার নেই, কারণ এটি করতে আমরা বাধ্য নই। এটি আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং কয়েকটি দেশকে বলে দেওয়া হয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে রফতানির প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা না করার জন্য।
এই বিলম্বের বিষয়ে যেসব দেশকে অবহিত করা হয়েছে সেগুলোর নাম বলেননি ওই সূত্র।
ভ্যাকসিন রফতানি তদারকির দায়িত্বে থাকা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ভ্যাকসিন রফতানির বিষয়ে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের এক মুখপাত্র জানান, তাদের এখন প্রধান লক্ষ্য দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। এর আগে জুন মাস থেকে ভ্যাকসিন রফতানি পুনরায় শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল কোম্পানিটি।
এদিকে ভারতের ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ। এসব দেশ বিকল্প উৎস থেকে অন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
অক্টোবরে ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোভ্যাক্সের সহ-নেতৃত্ব গ্যাভি জানায়, সেরামের কাছ থেকে মে মাসের শেষ দিকে অন্তত ১৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো ভারতেই থাকবে।