শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে মমতাই জিতলেন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টানটান উত্তেজনা নন্দীগ্রাম শেষ পর্যন্ত জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ১ হাজার ২০১ ভোটের ব্যবধানের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে পরাজিত করেছেন।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ক্ষমতাসীন তৃণমূল বর্তমানে ২০৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর মোদি-অমিত শাহের ব্যাপক প্রচারণার পরও বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৭১ আসনে। বিজেপিকে সকালে খানিক স্বস্তি দেয় নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছিয়ে থাকার খবর। পরে অবশ্য একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ‘বিশ্বাসঘাতকে’ পরিণত হওয়া শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে যান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর লাগাতার মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। সেই তুলনায় তৃণমূল অনেকটাই স্তিমিত ছিল। তবে অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ পেরেক পোঁতেন মমতাই। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, সেখান থেকেই ভোটে লড়বেন তিনি।

তার পরই নীলবাড়ির লড়াইয়ে বাংলার রাজনীতির যাবতীয় সমীকরণ উল্টে যায়। ১০ মার্চ আনুষ্ঠাানিক ভাবে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। ওই দিনই নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন মমতা। পায়ে আঘাত পান। তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে তরজা চরমে ওঠে।

এর দু’দিন পর, ১২ মার্চ নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপি-র হয়ে মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু। তারপর থেকে বিজেপি-র হেভিওয়েট নেতারা শুভেন্দুর হয়ে সেখানে সভা করে এসেছেন। সেই তুলনায় নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ছিল মমতা-সর্বস্বই। তবে সেখানে জেতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মমতা।

স্থানীয় সময় রোববার (০২ মে) সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২ আসনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট দফায় রাজ্য বিধানসভার ২৯২ আসনে ভোট হয়। সেই নির্বাচনের ফলাফল আজ গণনা করা হচ্ছে।