বিশেষজ্ঞদের মত উপেক্ষার ফলে ভারতের আজকের পরিণতি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দিনদিনই নাজুক হচ্ছে ভারতের পরিস্থিতি। প্রতিদিনিই রেকর্ড ভাঙছে শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক তথ্য দিল দেশটির করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফোরামের পাঁচ বিজ্ঞানী।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা জানায়, গত মার্চ মাসের প্রথমদিকে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি সম্পর্কে মোদি সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। তখন তাদের পরামর্শ শোনেনি কর্তৃপক্ষ। নেওয়া হয়নি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। সরকারের এমন গাফিলতিই কাল হয়েছে দেশটির জন্য।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করার কয়েক সপ্তাহ পরও দেশটির লাখ লাখ মানুষকে মাস্ক ছাড়াই কুম্ভমেলার মতো বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতারাও একের পর এক সভা-সমাবেশে করেছেন এই সময়।

মোদি সরকারের করা ৩টি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানী নয়া দিল্লির প্রান্তে লাখো কৃষকের কয়েক মাসের অবস্থান কর্মসূচিও চলছে।

এসবের ধারাবাহিকতা ও সরকারের উদাসীনতায় বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশটি এখন সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে।

অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভারত দেশব্যাপী দুই মাসের কঠোর লকডাউন দিয়ে মহামারির প্রথম ঢেউ বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি দেশটির অনেক রাজ্যেই হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে, পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধও।

রয়টার্সের তথ্যমতে, সংক্রমণের ভয়াবহতার বিষয়ে মোদি সরকারকে মার্চের শুরুতেই সতর্ক করেছিল ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কভ-২ জেনেটিকস কনসোর্টিয়াম’ (আইএনএসএসিওজি)। এই ফোরাম এমন একজন শীর্ষ কর্মকর্তার অধীনে, যিনি সরাসরি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে আইএনএসএসিওজির এক গবেষক রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীদের সেই সতর্কবার্তা নরেন্দ্র মোদির কাছে পৌঁছানো হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত হতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।