বিজেপি মুখে বলে হরি হরি, আর পিছনে ডাকাতি করে: মমতা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পা নাড়াতে পারছি না, তবুও ঘরে বসে নেই।

তিনি ঘরে বসে থাকলে বিজিপি নাকী পশ্চিমবঙ্গের সব বাড়ি-ঘর লুটে নিবে। শনিবার এইভাবে ক্ষমতাসীন দলকে আক্রমণ করে বসলেন মমতা।

বিজ্ঞাপন

মমতা বলেছেন, তৃণমূল জিতলে বিজেপি গোটা ভারতবর্ষ থেকে বিদায় নেবে। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ওরা না গেলে ভারতবর্ষটাকেই বিক্রি করে দেবে! সেজন্য আপনাদের ভোটটা দয়া করে তৃণমূল প্রার্থী শৈলেন্দ্রনাথ মহাপাত্রকে দেওয়ার জন্য আমি আবেদন জানাচ্ছি। মনে রাখবেন বিজেপি কী করে। ‘মুখে বলে হরি হরি, আর পিছনে ডাকাতি করি।’

মমতা আরও বলেন, ‘আমাদের সাথে বিজেপির অনেক তফাৎ আছে। সেজন্য বিজেপিকে চাই না।’

মোদির সরকারকে উদ্দেশ করে মমতা বলেন, ‘বাংলাকে আমরা বিক্রি করতে দেবো না। বাংলাকে আমরা বিদায় দিয়ে দেবো না। বাংলা বাংলার কাছেই থাকবে। ওরা বহিরাগত কিছু গুণ্ডা নিয়ে এসেছে। এই ভোটটা নিছক একটা ভোট নয়, এই বিজেপি নিছক বিজেপি নয়, এরা রাবণের দল। এরা দস্যুদের দল, এরা দানবের দল। এরা স্বৈরাচারী, অত্যাচারী দল। এরা মা-বোনেদের ওপরে অত্যাচার করার দল। ছাত্র যৌবনকে ধ্বংস করার দল। হিন্দু-মুসলিম, শিখ-খ্রিস্টানের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর দল।’

মমতা বলেন, ‘লুট-পাট, দাঙ্গা, মানুষ খুন বিজেপি-র তিনটি গুণ। তাই বিজেপি-কে যেন একটি ভোটও না দেওয়া হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।

এমনকি ভোটবাক্স পাহারা দিতেও আমজনতার প্রতি আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার পত্রিকা মমতার বরাত দিয়ে বলছে, , গাদ্দাররা সব বেইমানি করেছে। এখন তারা বিজেপির প্রার্থী। পুরনো লোকেরা কেউ নেই বিজেপির। তারা ঘরে বসে কাঁদছেন। সিপিএমের হার্মাদ ও তৃণমূল থেকে গাদ্দাররা গিয়ে বিজেপিতে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। বিজেপিতে নারীরা নিরাপদ নন।

তার দাবি, বাংলায় বাঙালিই থাকবে, এটা বিজেপির ঘর নয়। যদি আপনারা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকুক, দয়া করে একটা ভোট আমাকে দেবেন।