বেসরকারিভাবে ভারতে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এবার ভারতে বেসরকারিভাবে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। তবে, তা বিনামূল্য নয়, তার জন্য অর্থ খরচ করতে হবে। কত টাকা করে বেসরকারিভাবে করোনার টিকা দেওয়া হবে তা বলা হয়নি।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এমনটাই জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, ১ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দেওয়া হবে করোনার টিকা। সরকারি ক্ষেত্রে টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও বেসরকারিভাবে টিকা নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে টাকা খরচ করতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হবে বেসরকারিভাবে করোনার টিকা কত করে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, এই দফায় ষাটোর্ধ্বদের পাশাপাশি করোনার টিকা পাবেন ৪৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে।

বর্তমানে ভারতের হাতে রয়েছে দু'টি করোনা টিকা। ভারত বায়োটেকের তৈরি দেশীয় টিকা কোভ্যাকসিন এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয় প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে করোনা টিকা বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার পৌঁছে দেবে কি না, তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। সেই সময় এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়নি কেন্দ্র। বুধবার প্রকাশ জাভড়েকর স্পষ্ট জানান, দেশের ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়া হবে করোনার টিকা। কিন্তু, সেখান থেকে টিকা নিতে গেলে পয়সা খরচ করতে হবে গ্রাহকদের। তবে দেশের ১০ হাজার সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যেই দেওয়া হবে টিকা।

এর আগে, সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, কোভিশিল্ডের সম্ভাব্য দাম হতে পারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। যদিও সরকারের তরফে টিকার দাম চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলেই দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ৩৯২ জন।

প্রসঙ্গত, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল করোনা যোদ্ধাদের পরেই প্রবীণদের টিকা দেওয়া হবে। এবার তাই বাস্তবায়িত করার পথে কেন্দ্র।