ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার অনুমোদন দিতে বিশেষজ্ঞ প্যানেল বসছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য আজ (বুধবার) বিশেষজ্ঞ প্যানেল বসছে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) ‘কোভিশিল্ড’ টিকা দেশটিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এই ঘোষণা দেয়।

এমএইচআরএর এ অনুমোদনের অর্থ হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিরাপদ ও কার্যকর।

‘কোভিশিল্ড’ টিকা যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, এটি একটি দুর্দান্ত ও উৎসাহজনক সংবাদ।

তিনি বলেন, আমরা ভারতে এই টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য দেশটির নিয়ন্ত্রকদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করব।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহন করা অনেক সহজ। ভ্যাকসিনটি গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে কারণ বায়োএনটেক-ফাইজারের ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন রুমের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা যায়।

ফাইজারের মতোই অক্সফোর্ডের টিকার ক্ষেত্রেও দুটি করে ডোজ নিতে হবে। ফাইজারের ক্ষেত্রে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান তিন সপ্তাহ। অক্সফোর্ডের ক্ষেত্রে এর ব্যবধান চার সপ্তাহ।

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি ভারত সরকারের কাছে প্রতি ডোজ ২৫০ রুপিতে বিক্রি হবে। অনুমোদন পাওয়ার পরই টিকাটি গণহারে প্রয়োগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারত।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে তা বাংলাদেশের মানুষও পাবে।