মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যাও বাড়ছে ইতালিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ হাজার ২০০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ হাজার ৯২৭ জন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ইতালিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮২ জনের। আর এদিন আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৯১ জন। এ নিয়ে ইতালিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ হাজার ২২৭ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২৫ জন।
বোরেল্লি আরও বলেন, করোনা ঠেকাতে ও জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসব।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের এই দুর্দিনে প্রায় আট হাজার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মী স্বাস্থ্যসেবা দিতে করোনা আক্রান্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার তিউনিশিয়ার একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে ইতালিতে এসেছেন। এছাড়াও করোনায় আক্রান্তদের সহযোগিতায় কাতার, আলবেনিয়া, চীন, কিউবা এবং রাশিয়া থেকে আগত মেডিকেল টিম ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে পাহাং রাজ্যের কুয়ানতান শহরের এএসডি সানমুন অফিস হতে দুই দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এ সময়ে কুয়ানতান শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ, এম আর পি পাসপোর্ট বিতরণসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কন্স্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।
গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ও রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এই মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল কন্স্যুলার সেবা প্রদানকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে আগত শিশুদের বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যে হাইকমিশনার বাংলা বই উপহার দেন।
একই ভেন্যুতে বৈধ পথে প্রবাসী আয় প্রেরণ ও সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত প্রচারণা সভা ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় তিনি সেখানে কর্মরত প্রবাসীদের বেতন, থাকার জায়গাসহ বিভিন্ন সুবিধা এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের অনুরোধ করেন।
সকলকে মালয়েশিয়া সরকারের নিয়মকানুন মেনে চলারও আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় হাইকমিশনের পক্ষ হতে প্রবাসীদের মাঝে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ, সর্বজনীন পেনশন স্কীম এবং ওয়েজ আর্নারস ওয়েল ফেয়ার বোর্ডের সদস্য হওয়া সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
হাইকমিশনারের সঙ্গে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন প্রবাসীরা।
অগ্রণী ব্যাংক মানি ট্রান্সফার এর মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন এবং বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাসপোর্ট, ভিসা ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসকেএল এর পরিচালক আরমান পারভেজ মুরাদ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সেবা প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘ ৯ বছর পর বরিশাল বিভাগ কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠিত হয়েছে। আমিরাতে অবস্থানরত বরিশাল বিভাগের প্রবাসীদের কল্যাণে এবং বরিশালের উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমিরাতে এই কমিটির সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
দুই বছর মেয়াদী নতুন কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কমিটির সাবেক সভাপতি মো. রাজা মল্লিক। এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন হুমায়ুন কবির, আব্দুল্লাহ আল মামুন সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, শামিম খান, মোশাররফ হোসেন, শ্রী উত্তম হালদার ও প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সোহেল।
মোহাম্মদ রাজা মল্লিকের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম। নবনির্বাচিত কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রোমান আফতাব, সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান শুয়েব, প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম মমিন, মোহাম্মদ সাঈদ আমিন, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সিফাত উল্লাহ, ইমন মোহাম্মদ হাকিম, জীবন সমাদ্দার, মোঃ মামুন শেখ, মন্জুরুল ইসলাম।
সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, রিয়াদ হোসেন, মহিউল করিম আসিক। সহ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন প্রকৌশলী ফিরোজ আলম, প্রকৌশলী মনির হোসেন, মো: মেহেদী রুবেল।
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মামুনুর রশীদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল ইসলাম, সহ অর্থ সম্পাদক হিসেবে আছেন জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এস আমিরাত প্রতিনিধি সামসুর রহমান সোহেল (আরবি), সহ দপ্তর সম্পাদক হিসেবে আছেন সুমন হাওলাদার, মোঃ মনির হোসেন।
প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, ইমরান হোসেন তুষার, সহ প্রচার সম্পাদক মাহমুদ সজল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ আনোয়ার হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ বায়েজিদ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান খান, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো: ইমরান শেখ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এমদাদুল হক মিলন, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো: মহিবুল্লাহ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক শাহরিয়ার সরল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আমিরুল ইসলাম, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, সাইফুল্লাহ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো: ফয়সাল হোসাইন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জুবায়ের হোসাইন, সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো: রিদোয়ান। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফারদিন ইসলাম, সহ তথ্য সম্পাদক ওবায়দুর রহমান।
আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন আরিফ, সহ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মো: নাছির উদ্দিন, সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক: সাইফুল্লাহ, সহ মিডিয়া সম্পাদক সরোয়ার হোসেন টুলু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক: মো: রাসেল মিয়া, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ শাওন।
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, আকলিমা খানম, সহ মহিলা সম্পাদিকা ফেরদৌসি মল্লিক, শেফালি আকতার আখি, লোপা রহমান, পপি পারভেজ, নাজমা রহমান, সানজিদা ইসলাম।
সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, দেলোয়ার তালুকদার, বাবু চৌকিদার, মো: খোকন, মো: রিপন তালুকদার, মামুন খান, ইয়াছিন গাজী, আব্দুল জব্বার, মো: আরিফ, কাওসার আহমেদ, মো: নাজবীর, মো: আরিফুল ইসলাম, মো: খোকনকে।
অবৈধ সিগারেট মজুদের অপরাধে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে ৫০ হাজার ব্রুনাই ডলার বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ব্রুনাইয়ের নির্বাহী আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাহী আদালতের বিচারক আব্দুল আজিম বিন ওসমান এই রায় প্রদান করেন। জরিমানা অনাদায়ে বাংলাদেশি ওই নাগরিককে ১৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আদালতে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে বিবৃতি দেন ৪২ বছর বয়সী সিরাজুল মাদবর।
তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, গত ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় কাম্পং জায়া সেতিয়ায় একটি বাসায় অভিযান চালায় রয়েল কাস্টমস এবং আবগারি বিভাগের কর্মকর্তারা। বাসাটিতে অভিবাসী শ্রমিকরা থাকতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৫০ কার্টুন বিদেশি অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায়।
ব্রুনাইয়ের আইনে কর ছাড়া বিদেশি সিগারেট রাখা, বহন করা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি নাগরিক স্ট্রোক করার পর তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস হতে তিনি জোহরবারু প্রদেশের তাংকাক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, এই বাংলাদেশি ব্যক্তি ২০২৩ সালের নভেম্বরে জোহরবারুর কোন স্থানে স্ট্রোক করে পড়ে থাকা অবস্থায় কে বা কারা তাকে জোহরবারু হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে তাংকাং হাসপাতালে স্থানান্তর করে। বর্তমানে তার স্মৃতিশক্তি নেই, কোন কিছু লিখতে বা ভাব প্রকাশ করতে পারছে না।
সম্প্রতি বিষয়টি কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত হাইকমিশনার তাংকাং হাসপাতালে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। চিকিৎসাধীন ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট তার নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা কোন তথ্যই নেই।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ও মালয়েশিয়া পুলিশের নিকট সহযোগিতা চেয়েছিল, কিন্তু ইমিগ্রেশন বা পুলিশ সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেনি। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে বাংলাদেশে এনআইডি, পাসপোর্ট বা যে কোন তথ্য পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাকে শনাক্তের চেষ্টা করে কোন তথ্য উদঘাটন করতে পারে নি।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল নাগরিক এবং বাংলাদেশিদের কাছে এই ব্যক্তির পরিচয় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। অসহায় ব্যক্তিটির ছবি দেখে যদি কেউ কোন তথ্য প্রদান বা শনাক্ত করতে পারেন তাহলে তা বাংলাদেশ হাইকমিশনে সরাসরি বা ই-মেইল ([email protected]) তে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।