বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
Lalan memorial festival ends today; devotees and saints are leaving Mausoleum
The price of internet should not only be reduced, but it should be standardized
'Action will be taken against BCS officials appointed on party grounds'
Charlotte Jacquemart calls for withdrawal of cases against journalists
একসময় কয়েক গ্রাম ঘুরে একটি কাঠের উপকরণ দিয়ে তৈরি দুতলা বাড়ির দেখা যেতো। যে গ্রামে এমন বাড়ি থাকতো সে বাড়ির মালিকই ছিলেন প্রতাপশালী। বর্তমানে একসময়ের জৌলুশ ছাড়ানো সেই বাড়িগুলো দেখা যায় জরাজীর্ণ। যা কিছু আছে, তাও ধ্বংসের পথে।
কিশোরগঞ্জে জেলায় ষাটের দশকে এসব বাড়িগুলোর আধিপত্য ও জৌলুশ ছিলো। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় ইট, পাথরের আধিক্যতায় এসব বাড়ি বিলুপ্তির পথে। এখনো জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দেখে মেলে বিশাল কাঠের তৈরি দুতলা বাড়ির। গজারি, সেগুন কাঠ আর মজবুত টিন দিয়ে তৈরি এসব বাড়ি এখনো ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করছে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কটিয়াদী উপজেলা পৌর এলাকায় বিভিন্ন মহল্লায় অন্তত ১০টি কাঠের তৈরি দুতলা বাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে মুমুরদিয়া ইউনিয়নে বেশকিছু দুতলা বাড়ি রয়েছে। আচমিতা, মসূয়া, গচিহাটা এলাকায় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে এসব বাড়ি। এসব ঘরের ভেতর দিয়ে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা যেতো। মানুষ থাকতে পারতো। এছাড়াও জিনিসপত্র রাখা যেতো। বর্তমানে বাড়িগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। এর মধ্যে কিছু বাড়িতে এখনো মানুষ বসবাস করছে। এছাড়াও অনেক শৌখিন মানুষ মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে নকশা করা কারুকার্য কাঠের তৈরি ঘর নিয়ে এসে এলাকায় স্থাপন করেছেন।
মুমুরদিয়া বর্তিহাটা এলাকার আব্বাস আলী মাতাব্বর (৯৫) বার্তা২৪.কমকে বলেন, একসময় এমন দুতলা বাড়ি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসতো। বাড়ি তৈরি শেষ হলে জেফত (দাওয়াত) দিয়ে মানুষকে খাওয়ানোর একটা রীতি ছিলো। বাড়িগুলো ছিলো পরিবেশবান্ধব৷
কটিয়াদী পৌর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হীরালাল সাহার মোড়, পূর্বপাড়া মহল্লায় কয়েকটি পুরাতন কাঠের তৈরি দুতলা বাড়ি রয়েছে৷ বাড়িগুলো এখনো ঐতিহ্য বহন করে চলছে। হঠাৎ চোখে পড়লে মুহূর্তে কয়েক যুগ আগে ফিরে যায় মন। গ্রামে হাতেগোনা দুয়েকটা এমন ঘর দেখতে পেতাম।
ইতিহাস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আর এক যুগের পরে হয়তো এসব পুরাতন টিন ও কাঠের তৈরি দুতালা বাড়ি গুলো বিলুপ্তি হয়ে যাবে। হয়তো যাদুঘরে এর স্মৃতি খুঁজবে নতুন প্রজন্ম।
এবারের ‘লা নিনা’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেমন শীত বয়ে আনবে, সে বিষয়ে ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টার ১০ অক্টোবর আগের ‘লা নিনা’ বিশ্লেষণ করে একটা পূর্বাভাস দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আলোচনার আগে জানা দরকার, ‘লা নিনো’ ও ‘লা লিনা’ বলতে কী বোঝায়!
সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উষ্ণতার পর্যায় স্প্যানিশ ভাষায় ‘এল নিনো’কে ‘বালক’ এবং শীতল পর্যায় ‘লা নিনা’ নামে পরিচিত। ‘লা-নিনা’ শব্দের অর্থ শিশুকন্যা। এটি ‘এল-নিনো’-র বিপরীত অবস্থা।
বায়ু সঞ্চলনের স্বাভাবিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে অক্ষরেখা বরাবর বাতাস পূর্ব দিকের উচ্চচাপ বলয় থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। এই অবস্থায় সমুদ্রের পৃষ্ঠের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিক অবস্থা অপেক্ষা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলে পেরু-চিলি উপকূল বরাবর যে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয়, তাকে ‘লা-নিনা’ বলা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্ক- সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন বলা হয়, এবার দুর্বল ‘লা নিনা’ বয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে। এর প্রভাব পড়বে তাপমাত্রাসহ বরফ আচ্ছাদনের পরিমাণের ওপরও।
২০২৩ সালের নিনার উষ্ণতা ৪৮ ডিগ্রির চেয়ে কম ছিল। এটি ছিল সবচেয়ে বেশি উষ্ণতার রেকর্ড। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার লা নিনা ও লা নিনোর ওপর প্রভাব বিস্তারের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। উষ্ণতার কারণে উত্তর-পূর্ব ও মধ্যপশ্চিমে বরফের খরা তৈরি করেছে। সে কারণে পায়ের তলায় বরফের আস্তরণ ছিল কম।
এবারের লা নিনা সম্পর্কে ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, এবারের নভেম্বর মাস ধরে লা নিনা প্রবাহের সম্ভাবনা শতকরা ৬০ শতাংশ। যদি তাই-ই হয়, এবারের ‘লা নিনা’ পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘লা নিনো’ ও ‘লা নিনা’ শুধুমাত্র ঋতু বা এলাকার ওপর নির্ভর করে না। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীতকালের আবহাওয়ার ওপরও নির্ভর করে। এ অঞ্চলে এটি কতটা শক্তিশালী হিসেবে প্রবাহিত হবে, তার ওপরও নির্ভর করে।
যেহেতু, ‘লা নিনা’ এবার কতটা শক্তিশালী হবে, সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এবারের ‘লা লিনা’ আরো দুর্বল হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, এবারের ‘লা নিনা’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাংশ আরো বেশি আর্দ্রতার ভেতর দিয়ে যাবে। বিশেষ করে উত্তরপশ্চিম প্রশান্তরীয় অঞ্চলে বেশি আর্দ্রতা বিরাজ করবে। সেইসঙ্গে মধ্যপশ্চিম এবং উত্তরপশ্চিমের প্রান্তেও একই অবস্থা বিরাজ করবে। মধ্যপশ্চিম জুড়ে শুষ্ক ও খরার প্রবণতা বজায় থাকবে।
এছাড়া এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরো উত্তরাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে আরো বেশ উষ্ণতার ভেতর দিয়ে পার করবে। তারমানে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধেক ও পূর্ব দিকে বেশি উষ্ণতা বিরাজ করবে এবারের শীতে।
এর প্রভাব
এই আবহাওয়ার কারণে পূর্বাঞ্চলের আবহাওয়া শীতের তীব্রতা দিয়ে শুরু হবে এবং শেষ হবে উষ্ণতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু দক্ষিণে স্বাভাবিকের চেয়ে আরো বেশি শুষ্ক ও খরাপ্রবণ পরিবেশ বিরাজ করবে। এই দুই অবস্থার কারণে স্বাভাবিক আবহাওয়ার চেয়ে উষ্ণতা ও শীত দুটোই বয়ে যাবে শীতকালে।
তবে আসন্ন শীতকালে লা নিনা চলাকালে ক্যারোলিনার উত্তরাংশে বেশি আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এটাই জানিয়েছে, ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
এক বয়স্ক দম্পতির নাচ ঝড় তুলেছে ইনস্টাগ্রামে। এই দম্পতি ভারতের একটি রাজ্যের এক উৎসবে স্থানীয় রীতির পোশাক পরে তালে তালে পা মিলিয়ে এমনভাবে নেচেছেন যে, তা দেখে কোটি মানুষ বিস্মিত হয়েছেন!
এমন নিখুঁত এবং তালে তালে পা মেলানো একমাত্র যারাই নিয়মিত অনুশীলন করেন, একমাত্র তাদের পক্ষেই সম্ভব এত নিখুঁত ও এত সুন্দর করে নাচতে পারা।
ইতোমধ্যে, লাখ লাখ মানুষ তাদের সেই মনকাড়া ভিডিও দেখেছেন এবং এখনো অনেকেই সে ভিডিও দেখেই চলেছেন।
ভিডিওর লিংক -দম্পতির নাচ ঝড় তুলেছে ইনস্টাগ্রামে
শনিবার (১২ অক্টোবর) ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি, গুজরাটের এক বয়স্ক দম্পতি রাজ্যের একটি উৎসব নভরাত্রির অনুষ্ঠানে এমন দুর্দান্ত তালে তালে পা মিলিয়ে এবং নিখুঁতভাবে নেচেছেন যে, যারাই তাদের সেই নাচ দেখেছেন, তারাই মন্তব্য করেছেন- বয়স একটি সংখ্যামাত্র!
ওই দম্পতির নাম জানা না গেলেও বলা হয়, তাদের সেই দানদিয়া নৃত্য পরিবেশনা ছিল অতুলনীয়! সে কারণে ভিডিওটি এত ভাইরাল হয়ে যায়।
ইনস্ট্রাগ্রামের প্রভাবশালী সেলিব্রেটি তানিশ শাহ এই ভিডিটিও পোস্ট করেন। এরপর এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ দর্শক ভিডিও ডান্সটি দেখেছেন। শুধু তাই-ই নয় প্রতিনিয়ত এর দর্শক সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার দশমী ছিল আজ রোববার (১৩ অক্টোবর)। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহাষষ্ঠী থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলায় দুর্গার বিদায় জানাচ্ছেন ভক্তরা। পুণ্যার্থীদের পূজা-অর্চনায় মুখর ছিল মণ্ডপ। ছবিগুলো বিকেলে তুলেছেন বার্তা২৪.কমের ফটোগ্রাফার নূর-এ-আলম। বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য ছবিগুলো তুলে ধরা হলো-