জীবৎকালেও তিনি ছিলেন নীরব ও নিভৃতচারী। খুব একটা হৈচৈ, আত্মপ্রচার, মিডিয়ার লাইম লাইট মোটেও পছন্দ করতেন না। একজন গুণী শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক-সাধক যেমন আত্মমগ্ন থাকেন বা থাকার কথা, নিজের সুরের ভুবনে, আজাদ রহমান ছিলেন ঠিক তেমনি।
মৃত্যুর (১৬ মে) কারণে অনেক বছর অনালোচিত থাকার পর আবার তাকে নিয়ে সবাই সরব হয়েছেন। অথচ এতবড় একজন শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালককে এতদিন মূল্যায়ন বা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় উপস্থাপন করতে না পারার ব্যর্থতা দেখানো হয়েছে, যা সত্যিই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
আজাদ রহমান বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা যুগান্তকারী ও সুদূরপ্রসারী। সত্তর দশকে আমাদের সঙ্গীতবোধ ও গানের জন্য 'কান'কে বিনির্মাণ করেছেন তিনি। মনে রাখতে হবে, ষাটের দশকের হেমন্ত, মান্না, মানবেন্দ্র, শ্যামল, কিশোর শুনে শুনে যে 'গানের কান' আমাদের নির্মিত বা তৈরি হয়েছিল, তাকে ঢাকার সীমিত সুযোগ ও আয়োজনের মাধ্যমে বিনির্মাণ করা সহজ বিষয় ছিলনা, ছিল বিরাট বড় চ্যালেঞ্জের।
আজাদ রহমান সে চ্যালেঞ্জ যোগ্যতার সঙ্গে অতিক্রম করে স্বাধীনতা-পরবর্তী আধুনিক বাংলা গানকে একটি সম্মানজনক ও স্রোতা-প্রিয় অবস্থানে উত্তীর্ণ করেন। নিজে খেয়াল গানের একজন অগ্রণী শিল্পী এবং সঙ্গীতের উচ্চতর শিক্ষাপ্রাপ্ত ছিলেন বলে গানকে সস্তা, চটুল, গতানুগতিকতার কবল থেকে বাঁচাতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। ফলে ব্যাকরণ সম্মত, নান্দনিক সঙ্গীত প্রবাহের একটি চমৎকার স্রোত তার সমগ্র সঙ্গীতজীবনকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ইত্যাদি সকল পরিচয় ও অবস্থানেই তিনি তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বলতার সঙ্গে ধারণ করেছেন। এমনকি, সিনেমার গানেও তিনি চমকপ্রদ আবহ সৃজন করে সুস্থ সঙ্গীতের সুরে ও তালে শ্রোতাদের বিমোহিত করেছেন।
মধ্য সত্তর ও আশি দশকে আজাদ রহমানের ক্যারিয়ারের উতুঙ্গ কালে 'এপার ওপার', 'অনন্ত প্রেম', 'আগুন', 'মায়ার বাঁধন'সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে তিনি সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার সুরকৃত ও তার নিজেরই কণ্ঠে গাওয়া 'এপার ওপার' চলচ্চিত্রের 'ভালবাসার মূল্য কত', 'ডুমুরের ফুল' চলচ্চিত্রের 'কারো মনে ভক্তি মায়ে', 'দস্যু বনহুর' চলচ্চিত্রের 'ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়' গানগুলো সত্তর-আশি দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি 'জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো'-এর মত উল্লেখযোগ্য দেশাত্মবোধক গানের সুর করে অসংখ্য শ্রোতার চিত্ত জয় করেন।
১৯৭৭ সালের কথা। একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেলো ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে, চমকপ্রদ কাহিনীর পাশাপাশি তাতে ছিল বাঁশির ঐন্দ্রজালিক সুর মূর্ছনা। ছবিটিতে দরিদ্র বিধবা মায়ের সন্তান যাদু বাঁশি বাজিয়ে গ্রামবাসীকে বিমোহিত করে। গ্রামের কিছু লোক এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। নদীর তীরে ডুবতে থাকা জেলে মোহর আলীর স্ত্রীকে বাঁচায় সে। মোহর আলী তার একটা কাজের বন্দোবস্ত করে দেয়। কিন্তু সে তার মালিক তমিজ আলীর মেয়ের পাখির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। তমিজ আলী জানতে পেরে যাদু ও মোহর আলীকে শাসায়। মোহর আলী ও তার স্ত্রী আমেনার সাহায্যে তারা বিয়ে করে এবং গ্রাম ছেড়ে শহরে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে যাদু অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার ক্যান্সার ধরা পরে। অন্যদিকে পাখির চাচার কুবুদ্ধিতে পাখি যাদুকে হাসপাতালে একা রেখে বাড়ি চলে যায় এবং গৃহবন্দী হয়।
এমনই এক বেদনাময় কাহিনীর সঙ্গীতমুখর 'যাদুর বাঁশি' নামের ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তাতে গীত রচনা করেন আহমদ জামান চৌধুরী খোকা ভাই। গানে কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, খুরশিদ আলম। যাদুর বাঁশি বাজিয়েছেন আবদুর রহমান। সুর, সঙ্গীত, বাঁশির সমন্বয়ে নাটকীয় কাহিনীর এমন ছবি বাংলা চলচ্চিত্রে খুব বেশি নির্মিত হয়নি।
অনেক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো বাংলাদেশের শ্রোতাদের ভালোবাসা। আজো তার গানের কলি স্মৃতিকাতর করে মানুষকে।
আজাদ রহমানের 'দস্যু বনহুর' চলচ্চিত্রে 'ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়' শীর্ষক বিখ্যাত গানের একটি লাইন হলো 'মুখ ঢাকা মুখোশে এই দুনিয়া, মানুষকে কি করে চিনবো বলো'। আশ্চর্য, তিনি যখন বিদায় নিলেন, করোনার কারণে দুনিয়ার মানুষ নিজেদের লুকনো মুখোশের বদলে বাস্তবিক মুখোশই পরে আছে আর সেই সঙ্কুল পরিস্থিতিতে মুখোশের অন্তরাল ভেদ করে নানাবিধ আচরণ ও কার্যক্রমের দ্বারা মানুষ ও অমানুষ ঠিকই চেনা যাচ্ছে।
আমাদের ব্যর্থতা এটাই যে, তার মতো গুণী শিল্পী, মেধাবী সুরকার ও নেতৃত্বস্থানীয় সঙ্গীতপরিচালক আধুনিক বাংলা সঙ্গীত জগতে যে অম্লান অবদান রেখেছেন, তা পুরোটা চিনতে ও শনাক্ত করতে পারনি আমরা। সুরের নিভৃত জগতে অবস্থান করে অতি নিভৃতেই তিনি আরেক জগতে চলে গেলেন চিরদিনের জন্য। সুরের আকাশে তার গানগুলো রইলো তারকার দীপ্তিতে।
আজও একঝলক তাকে দেখে মনে ঝড় ওঠে কোটি কোটি মেয়ের। সেই শাহরুখ খান এবার পৃথিবীর অন্যতম সুপুরুষ অভিনেতা বিবেচিত হলেন। কোনও পত্র-পত্রিকা নয়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শাহরুখের মুখের গঠন পরীক্ষা করে এই দাবি করছেন চিকিৎসকরাই।
গাণিতিক সূত্র ‘গ্রিক গোল্ডেন রেশিও অফ বিউটি ফি’র আগমন গ্রিস থেকেই। সৌন্দর্য বিচারে এই সূত্র ব্যবহার করা হতো সেখানে। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি চিত্রকর্মে ওই সূত্র ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমের পুরুষের আদর্শ দেহসৌষ্ঠব তুলে ধরা হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক সূত্র যা শিল্পকলা, নকশার পরিপূর্ণতা এবং নান্দনিক আবেদন পরিমাপের জন্য প্রয়োগ করা হয়। ওই পদ্ধতি মেনে, ফেস ম্যাপিং সফটওয়্যারের সাহায্যে অভিনেতাদের মুখসৌষ্ঠব নিয়ে গবেষণা চালান লন্ডন নিবাসী প্রখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন জুলিয়ান ডি সিলভা এবং তার সহযোগীরা।
আর সেই গবেষণাতেই সেরা ১০ সুপুরুষ অভিনেতার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শাহরুখ। ২০২৪ সালের ওই তালিকায় ভারত থেকে একমাত্র শাহরুখই ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। মুখসৌষ্ঠব অনুযায়ী শাহরুখের স্কোর ৮৬.৭৬ শতাংশ। গবেষকরা জানিয়েছেন, শাহরুখ সুন্দর ভাবেই বার্ধক্যের দিকে এগোচ্ছেন। বিশেষ করে শাহরুখের ঠোঁট এবং চৌকো থুতনির প্রশংসা করেছেন তারা। কিছুটা নম্বর কাটা গিয়েছে নাকের জন্য। তিনি তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন।
ওই তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন ইদ্রিস আলবা, তার স্কোর ৮৭.৯৪। ‘রিভারডেল’খ্যাত চার্লস মেলটন অষ্টম স্থানে রয়েছেন। সপ্তম স্থানে রয়েছেন ‘দ্য গ্রেট’খ্যাত নিকোলাস হোল্ট। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা তারকা জর্জ ক্লুনি। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ‘ডানকার্ক’খ্যাত জ্যাক লোডেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ‘গ্ল্যাডিয়েটর ২’ তারকা পল মেসক্যাল। তৃতীয় স্থান দখল করেছেন হলিউডের সেক্সিয়েস্ট অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসন। দ্বিতীয় স্থানে ‘গ্রেঞ্জ হিলে’র লুসিয়েন লিওন এবং প্রথম স্থানে রয়েছেন অ্যারন টেলর-জনসন। তার স্কোর ৯৩.০৪ শতাংশ।
এই তালিকায় শাহরুখের অবস্থান সকলের নজর কেড়েছে। তার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল বলে মনে করছেন অনুরাগীরা।
ছোটপর্দার সুপারস্টার জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তাকে রোমান্টিক গল্পের সেরা অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করে দর্শক থেকে তারকারা। তবে তার এই ইমেজ একদিনে তৈরি হয়নি। অপূর্ব জানান, শত শত রোমান্টিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক তাকে রোমান্টিক গল্পের অপরিহার্য শিল্পী করে তুলেছেন।
গতকাল (১৬ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমিও বলছিলেন, ‘রোমান্টিক কোনো গল্পের প্লট তৈরি করলে অপূর্ব ভাইয়ের কথা সবার আগে মনে পড়ে।’ বিষয়টিকে সৌভাগ্য মনে করেন অভিনেতা অপূর্ব।
প্রায় পাঁচ বছর পর অপূর্বকে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’খ্যাত নির্মাতা অমি। তারা আগামী বছরের ভালোবাসা দিবসে হাজির হবেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’র ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’ নিয়ে। এতে অপূর্বর বিপরীতে অভিনয় করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।
অপূর্ব বলেন, অমির সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন কাজ হয়নি। তবে আমরা একসঙ্গে কাজ করলে বড় কোন প্রোজেক্ট দিয়েই ফিরবো বলে পরিকল্পনা করছিলাম। অবশেষে বঙ্গ সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অমিও ডিরেক্টর হিসেবে অনেক পরিণত হয়েছে। ওর কাজ দেখতে ভীষণ পছন্দ করে দর্শক। আর তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গেও আমার অনেক কাজ হয়েছে। অভিজ্ঞতা সব সময় খুব ভালো। ফারিণও এখন খুব জনপ্রিয়, তাকে নিয়ে কোথাও গেলে ভীড় সামলাতে হিমসিম থেকে হয় (মজার ছলে)। সব মিলিয়ে বলতে পারি ব্যতিক্রমী কাজ এটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘হাউ সুইট’ একটি রোমান্টিক কমেডি ঘরানার সিনেমা হতে যাচ্ছে। পরিচালক অমি জানান, সবসময় এমন কনটেন্ট বানাই যেন মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। ‘হাউ সুইট’ কাজটিও ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, চমচম খেলে যেমন মিষ্টি অনুভব হয়, এই গল্পটি দেখার সময় দর্শকদের সেই অনুভূতি হবে। আর এই ধরনের কাজে অপূর্ব ভাই ছাড়া কেউ মাথায় আসেনি। ফারিণের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া অনেক ভালো। সে রোমান্টিক সিরিয়াস দুই চরিত্রেও ভালো করে। এ কারণে তাদের নিচ্ছি।
অভিনেত্রী ফারিণ বলেন, আমার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য কাজ এক্স বয়ফ্রেন্ড যেটা অমি ভাইয়ের বানানো। ওই কাজে আমি না থাকলে হয়তো আজকে এখানে আসতে পারতাম না। এ জন্য আমি সবখানে বলি আমার ক্যারিয়ারে কাজল আরেফিন অমি ভাইয়ের অনেক অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ তার সঙ্গে ‘অসময়’ কাজটি দিয়েও মানুষের অনেক প্রশংসা ভালোবাসা পেয়েছি। তাছাড়া অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে আগে অনেক কাজ করেছি। তিনি ভীষণ ভালো অভিনেতা। ‘হাউ সুইট’ পুরো টিমের মাধ্যমে আগামীতে দর্শক আবার দারুণ কিছু পাবে বলে আমি আশা রাখছি।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, হাউ সুইট-এ আরও অভিনয় করবেন সাইদুর রহমান পাভেল। ঢাকা ও বরিশালে এর শুটিং হবে। ওয়েব ফিল্ম হলেও এটি সিনেমার আয়োজনে শুটিং হবে। থাকবে অ্যাকশন ও একটি আইটেম গান।
কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিয়ের কার্ড পোস্ট করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। কার্ডটি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুর জন্য।’
এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় গুঞ্জন। তাহলে কি বিয়ে করতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী? পরে অবশ্য জানা যায়, এটি তার নতুন সিনেমার প্রচারের অংশ। তবে সেই সময়ে সিনেমা নিয়ে কিছু না জানালেও এবার জানা গেল, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে সেই ছবি। ‘৩৬-২৪-৩৬’ নামের সেই সিনেমায় দীঘির নায়ক শাওন। চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের এটি পঞ্চম সিনেমা। শুরুতে ‘৩৬-২৪-৩৬’ ওয়েব ফিল্ম হিসেবে কেবল ওটিটিতে মুক্তির কথা ছিল, তবে এখন ছবিটি প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি দিতে চায় চরকি। ছবিটির নাম থেকে অনুমান করা যায়, সমাজের চোখে নারীকে আকর্ষণীয় হতে গেলে শরীরের কেমন মাপ থাকতে হবে ও সেই সামাজিক চাপ বিভিন্ন শারীরিক গড়নের নারীর জীবনে কি প্রভাব ফেলে তা দেখানো হবে।
দীঘি এখন কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ সচেতন। শুধু কাজের সংখ্যা বাড়াতে চান না। মনের মতো গল্প পেলেই অভিনয় করছেন। তিনি জানালেন, তেমনই একটি গল্প ‘৩৬-২৪-৩৬’।
দীঘির মতে, এত থ্রিলার সিনেমার ভিড়ে দর্শকদের কিছুটা হলেও অন্য স্বাদ দেবে ‘৩৬-২৪-৩৬’। যে কারণে রোমান্টিক কমেডি ঘরানার গল্পটি বেছে নেন। এই নায়িকা বলেন, ‘একটি গল্প যতটা সাধারণভাবে বলা যায় ততই দর্শকের কাছে যায়। এই সিনেমায় সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। দিন শেষে একটু বিনোদন চায় মানুষ। সহজভাবে বাঁচতে চায়। সেটাই এ সিনেমার গল্প।’
এই ছবিতে দীঘির বিপরীতে রয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন। ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা ‘কাঠবিড়ালী’ দিয়ে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হন এই অভিনেতা। পরে বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব পেলেও করেননি। গত বছর গোপনেই এই সিনেমায় নাম লেখান। শাওন বলেন, ‘এটা পারফেক্ট সিনেমার গল্প। একই সঙ্গে এখানে কমেডি যেমন রয়েছে, তেমনি আবার রোমান্টিক গল্পও রয়েছে। আবার সামাজিক বার্তা রয়েছে। পারিবারিক ঘরানার সিনেমাটি দেখে দর্শক হতাশ হবেন না।’
প্রথমবার দীঘির সঙ্গে কাজ বিষয়ে এই অভিনেতা বললেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীঘির আলাদা একটি ইমেজ আছে। সেগুলো পাশ কাটিয়ে সে অভিনয়ে অনেক সিনসিয়ার। বেশ সময় নিয়ে আমরা কাজটি করেছি। যে কারণে আমাদের গল্পটা জমেছে। দুজনকেই দর্শক নতুনভাবে পাবেন।’
চরকির ইন্টার্নশিপ সিরিজ বানিয়ে এর আগে প্রশংসিত হয়েছিলেন রেজাউর রহমান। এটা প্রথম সিনেমা। এই পরিচালক বলেন, ‘সিনেমাটি খুবই কালারফুল। বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৈচিত্র্য আনতে চেয়েছি। দর্শক বিনোদন পাবেন; সংলাপ ও ঘটনা সেভাবেই সাজানো। আগে ‘ইন্টার্নশিপ’ দেখে দর্শক যেমন বিনোদন পেয়েছেন, ‘৩৬-২৪-৩৬’ সিনেমার গল্প, পটভূমিও দর্শকদের আলাদা একটি জগতে নিয়ে যাবে।’
সিনেমায় দীঘি-শাওন ছাড়াও অভিনয় করেছেন কারিনা কায়সার, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীরসহ অনেকে।
চলচ্চিত্রজগৎ থেকে হঠাৎ একদম উধাও হয়ে গেছেন বলিউডের অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। বেশ কিছুদিন তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে এবার তার উধাও হওয়ার কারণ জানা গেল। মা হতে চলেছেন এই তারকা। এক সিনেমার অনুষ্ঠানে নিজের ‘বেবি বাম্প’ প্রদর্শন করেছেন রাধিকা।
২০১২ সালে রাধিকা ব্রিটিশ সংগীত পরিচালক বেনেডিক্ট টেলারকে বিয়ে করেছিলেন। রাধিকা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা পছন্দ করেন না। তাই তার ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে সাধারণ মানুষ সেভাবে জানেন না।
রাধিকা এখন তার জীবনের এই স্পেশ্যাল সময়কে উপভোগ করছেন। খুশি মনে জানালেন, খুব শিগগিরই মা হতে চলেছেন। তবে এত দিন এ বিষয়ে ঘুণাক্ষরেও টের পেতে দেননি তিনি। নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রথমে গোপন রেখেছিলেন রাধিকা। বেবি বাম্প প্রকাশ্যে এনে তিনি সবাইকে চমকে দিয়েছেন। লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে কালো রঙের অফ-শোল্ডার বডিকন পোশাক পরে এসেছিলেন রাধিকা। তার এই পোশাকে বেবি বাম্প স্পষ্ট ছিল।
এই অভিনেত্রী তার ছবি ‘সিস্টার মিডনাইট’-এর প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন। রাধিকার মা হতে যাওয়ার খবরে নেট দুনিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। তার এই সারপ্রাইজ ভক্তরা দারুণ পছন্দ করছেন। নেট জনতারা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অনেক নেটিজেন তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন।