বটতলা রঙ্গমেলায় আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মামুনুর রশীদ, ছবি: সংগৃহীত

মামুনুর রশীদ, ছবি: সংগৃহীত

‘নৃশংস নৈঃশব্দ্য ভেঙে সুনন্দ সাহস জাগুক প্রাণে প্রাণে’ স্লোগান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে বটতলা।

১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ‘বটতলা রঙ্গমেলা ২০১৯’ উৎসবের উদ্বোধন করবেন নাট্যজন আতাউর রহমান। প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন তিন তরুণ নাট্যকার সাধনা আহমেদ, রুমা মোদক ও শুভাশিস সিনহা।

বিজ্ঞাপন

তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ উৎসব চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন রঙ্গমঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় থাকবে নাটকের মঞ্চায়ন। মঞ্চস্থ হবে ক্রাচের কর্নেল (বটতলা, বাংলাদেশ), আমার মুখের আঁচলখানি (রঙ্গাশ্রম, ভারত), ডিলিম্মাস উইথ মাই ফ্লেমেনকো টেইলকোট মুন পেলেস, স্পেন), মিস্টিরিয়াস গিফট (ক্রেজি বডি গ্রুপ, ইরান), ৪.৪৮ ফিজিক্সিস (আরোহণ গুরুকুল, নেপাল), বিল্বমঙ্গল (চাকদহ নাট্যজন, ভারত), ম্যাকবেথ (পদাতিক নাট্য সংসদ, বাংলাদেশ), শুক (জলপাইগুড়ি কলাকুশলী, ভারত), ব্ল্যাক হোল (জ্যোতি দুর্গা, ভারত), আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (সুখচর পঞ্চম, ভারত) ও খনা (বটতলা, বাংলাদেশ)।

নাটক মঞ্চায়নের পর প্রতিদিন বহিরাঙ্গনে নাদিম মঞ্চে রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১০টায় দর্শকের মুখোমুখি হবে সংশ্লিষ্ট নাটকের নির্দেশক। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত থাকবে গান, নাটক, কবিতা ও নাচ। অংশ নেবে মনিপুরী থিয়েটার, ক্ষ্যাপা বাউল, জবিরঙ্গ, সমগীত, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, এফ মাইনর, ঢাকা থিয়েটার, মাদল, সর্বনাম, জাককানইবি নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিভাগ এবং বেতাল।

২৬ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠিত হবে ‘রঙ্গমঞ্চে বটতলার আলাপ’। এতে নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী অংশ নেবেন। রঙ্গমেলায় আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ। এদিন সন্ধ্যায় সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করবেন তিনি।

বিভাগীয় নাট্যজন সম্মাননা প্রদান করা হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায়। সম্মাননা পাচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন (বরিশাল), হেমেন্দ্র চৌধুরী (সিলেট), হরিপদ সূত্রধর (ঢাকা), সবিতা সেনগুপ্ত (রংপুর), গৌরাঙ্গ আদিত্য (ময়মনসিংহ), মিলন চৌধুরী (চট্টগ্রাম), অনিতা মৈত্র (রাজশাহী) ও রোহানি বেগম মেরী (খুলনা)।

প্রতিদিন নাটক শেষে পর্দার অন্তরালে থাকা থিয়েটারের অপরিহার্য কুশলীদের জানানো হবে সম্মান।উৎসবের সুমন মঞ্চে দেখানো হবে চারটি তথ্যচিত্র। ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর সাড়ে তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দেখানো হবে লেট দেয়ার বি লাইট (তাপস সেন, ভারত), ফেরদৌসী মজুমদার (বাংলাদেশ) এবং বিহাইন্ড দ্য সারটেইন বিভাস চক্রবর্তী (ভারত)। ২৪ নভেম্বর দেখানো হবে ‘দ্য টিচার: সৈয়দ জামিল আহমেদ’ (বাংলাদেশ)। সুমন মঞ্চে ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত তিনটি মাস্টারক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। সংগীত ও নাট্য বিষয়ে ক্লাস নেবেন শিমুল ইউসুফ, চিত্রকলা ও নাট্যশিল্প নিয়ে বলবেন ঢালী আল মামুন এবং শরীর, নৃত্য ও প্রশ্ন নিয়ে মাস্টারক্লাসে থাকবেন শৈবাল বসু (ভারত)।

হৃদয়ঙ্গম ঋদ্ধ মঞ্চে থাকবে শিশু প্রহর। ২২ ও ২৩ নভেম্বর সকাল দশটা থেকে শিশু প্রহরে মঞ্চস্থ হবে আওয়ার কিংডম (শব্দাবলী, বরিশাল), পুথি পড়া, পাখি পড়া (ফুলকি, চট্টগ্রাম) ও পুতুলনাচ (বাংলাদেশের পুতুল নাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র)। এ ছাড়া দুদিনই থাকবে আর্টক্যাম্প। ক্যাম্পে উপস্থিত থেকে শিশুদের উৎসাহিত করবে সিসিমপুর। ২৬ নভেম্বর রাত নয়টায় উৎসবের পর্দা নামবে।