নেই এবি কিচেন, আছে ৪০টি গিটার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইয়ুব বাচ্চু ,ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব বাচ্চু ,ছবি: সংগৃহীত

এবি কিচেন। নামটা কিচেন হলেও এখানে রান্না হতো শুধুই গান। আর সেই কিচেনের একমাত্র রাঁধুনি ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ঢাকার মগবাজারের কাজী অফিস গলিতে ছিল এই এবি কিচেনের অবস্থান। সেখানে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের গিটার জাদুকর।

তবে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে সঙ্গে আজ আর নেই সেই এবি কিচেন। সেই ভবন এখনো আছে শুধু নেই এবি কিচেনটা। যেখানে একসময় সারাদিন গানের সৃষ্টি হত, ভিড় লেগে থাকতো মিউজিক দুনিয়ার মানুষদের। সংগ্রহে থাকতো আইয়ুব বাচ্চু শখের গিটার গুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রায় ৮ মাস হলো এবি কিচেন নেই মগবাজারের কাজী অফিসের সেই গলিতে। যেই গলির শেষ মাথায় অবস্থিত আইয়ুব বাচ্চুর বাসভবন। 

বিজ্ঞাপন

তাহলে এবি কিচেন এখন কোথায়? কোথায় বা আইয়ুব বাচ্চু শখের গিটার গুলো। এমন প্রশ্নের উত্তরে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী চন্দনা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানালেন, ‘এই বছরের মার্চ মাসে আমরা ওই ভবনটি ছেড়ে দিয়েছি। আর আমরা তার ৪০টি গিটার বুঝে পেয়েছি যেগুলো বাসাতেই রাখা আছে। গিটার ছাড়া তার ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র বাসাতেই রাখা আছে।’


১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। তারপর হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্য সেরা গিটারবাদক। হাসতে দেখা, গাইতে দেখা আইয়ুব বাচ্চুর জীবনে ছিল এক বুক ভরা বেদনা। তাঁর কাছের মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন একজন অভিমানী মানুষ, অভিমান পুষে রাখতেন। নিজের গানেও বলেছেন সেসব কথা। বলেছিলেন, আমাকে কাঁদাবে আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে। অভিমান পুষে রাখতে রাখতে গত বছরে এই দিনে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৯টা ৫৫ মিনিটে ঠিকই রুপালী গিটার ফেলে ঠিকই আইয়ুব বাচ্চু উড়াল দিয়েছেন।