বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ঐশ্বরিয়া রাইকে। ডিভোর্সের জল্পনার মধ্যেই এবার তার ভাবি শ্রীমা রাই এই তারকাকে নিয়ে করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য! শ্রীমার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত।
সম্প্রতি শ্রীমা পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সেই ছবিতে পরিবারের সবাই থাকলেও ঐশ্বরিয়া রাই ও তার কন্যা আরাধ্যা বচ্চনেরে কোন ছবি নেই। এই পোস্ট দেখে ঐশ্বরিয়ার ভক্তরা প্রশ্ন তুলেছেন কেন তিনি পারিবারিক ছবিতে নেই।
বিজ্ঞাপন
সেই প্রশ্নের কঠিন জবাব দিয়েছেন শ্রীমা। তিনি বলেন, আপনারা ঐশ্বরিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গিয়ে দেখুন। সেখানে শুধুই তিনি এবং তার মেয়ের ছবি। কোথাও আমাদের ছবি শেয়ার করেছেন? এর পরে শ্রীমা আরও একটি পোস্ট করেন ঐশ্বরিয়ার ননদ শ্বেতা বচ্চন ও নন্দাই নিখিল নন্দাকে ধন্যবাদ জানিয়ে। নেটিজেনরা বলছেন বৌদির সঙ্গে অভিনেত্রীর নাকি বিন্দুমাত্র মিল নেই।
ঐশ্বরিয়া ভক্তরাও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তারা দাবি করেন, এর আগে বহু বার ঐশ্বরিয়ার পারিবারিক ছবিতে দেখা গিয়েছে আদিত্য ও শ্রীমাকে। তিনি ছবি শেয়ার না করলে শ্রীমাকে কেউই চিনত না। ঐশ্বরিয়াকে নাকি হিংসা করেন শ্রীমা!
বিজ্ঞাপন
এতে বেজায় চটেছেন শ্রীমা! পাল্টা জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ব্লগার হওয়ার আগে দীর্ঘ দিন ব্যাংকে চাকরি করেছি। ২০০৯ সালে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছি। এটা সকলকে জানিয়ে রাখা ভাল আমি কারও নাম ভাঙিয়ে জীবনে কিছু করিনি। আমি নিজের ক্ষমতায় নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেছি।
ছোটপর্দার ‘কুইন’ মেহজাবীন চৌধুরীর বড়পর্দায় অভিষেক হয়েছে গেলো শুক্রবার। মুক্তির প্রথম দিন থেকেই তার সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’র সুনাম চারিদিকে। বরাবরের মতো মেহজাবীনের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন দর্শক। তবে গতকাল এই ছবির স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এ মেহজাবীন মুগ্ধ করলেন দেশের বিখ্যাত তারকারা।
জয়া আহসান থেকে শুরু করে রুনা খান, আফসানা মিমি, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মাসুমা রহমান নাবিলা, তমা মির্জা, সুমাইয়া শিমু, বিজরী বরকতউল্লাহ, দীপা খন্দকার, শাহনাজ খুশি, হৃদি শেখ, ইন্তেখাব দিনার, সোহেল মন্ডল, মনোজ প্রামাণিক, নির্মাতা রায়হান রাফি, আহমেদ শাওকী, চয়নিকা চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস- প্রত্যেকে ছবি দেখে মেহজাবীনের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এদিক অভিনেত্রী, নির্মাতা আফসানা মিমিকে কাছে পেতেই গুরু বলে সম্মোধন করলেন মেহজাবীন। যখন অভিনয় শুরুই করেননি মেহজাবীন; মাত্র প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে নিতে ব্যস্ত; তখন শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। অভিনয়, সংলাপের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর সঙ্গে মেহজাবীনের পরিচয় তার কাছ থেকেই। শেখার শুরুটাও আফসানা মিমির কাছেই। সেই শিক্ষক এসেছিলেন মেহজাবীন অভিনীত প্রথম সিনেমা ’প্রিয় মালতী’ দেখতে। বড় পর্দায় মেহজাবীন কেমন করেছে জানতে চাইলে গুরু আফসানা মিমি জানান, তার শিষ্য ভালোই শুধু করেনি, খুব ভালো করেছে।
দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান তো রীতিমতো ভালোবাসার আলিঙ্গনে সিক্ত করেছেন মেহজাবীনকে। সিনেমা দেখা শেষে জয়া বলেন, ’অনেককেই বলতে শুনলাম, মেহজাবীন সিনেমায় আরও আগে কেন আসেনি। আমার মনে হয়, এত পরিপক্ক একটা কাজ করবে বলেই হয়তো এত দেরি।’
অভিনেত্রী, প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ’মেহজাবীনকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সঙ্গে এর নির্মাতা ও পুরো টিমকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই, এত সুন্দর একটা সিনেমা উপহার দেবার জন্য।’
ভালোবাসায় সিক্ত মেহজাবীন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেন, ’যেটা আশা করেছিলাম, সেরকম সাড়া পাচ্ছি। সিনেমাটি সবার ভালো লাগছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল এবং প্রতিক্রিয়াগুলো আমাদের উৎসাহ দিচ্ছে, আমাদের চেষ্টা সার্থক মনে হচ্ছে।
২০ ডিসেম্বর মুক্তি পায় মেহজাবীন অভিনীত প্রথম সিনেমা ’প্রিয় মালতী’। শঙ্খ দাশগুপ্তের পরিচালনায় ’প্রিয় মালতী’ সিনেমার মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় চরিত্রটিকে। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন পরিচালক। সিনেমাটি পেয়েছে ইউ গ্রেডের সেন্সর সার্টিফিকেট, অর্থাৎ সব বয়সী দর্শকরা এটি দেখতে পারবেন।
সিনেমায় অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, শাহজাহান সম্রাট, রিজভি রিজু, আনিসুল হক বরুণ, নাদের চৌধুরীসহ অনেকে। ’প্রিয় মালতী’ যাপিত জীবনের গল্প। সিনেমায় নিম্ন–মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমায় তার নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন–মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। হঠাৎই একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
এরই মধ্যে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়াতে। মর্যাদাপূর্ণ দুই উৎসবেই অফিসিয়ালি সিলেক্ট হওয়া ’প্রিয় মালতী’ পেয়েছে ব্যাপক প্রশংসা। একদম দেশিয় প্রেক্ষাপটে বানানো সিনেমাটি সহজেই বুঝতে পেরেছেন বিদেশি দর্শক।
তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইশা খান অভিযোগ করলেন শোবিজের পরিচিত নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি জানান আইশা।
আবু হায়াতের বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ আনেন আইশা। তাকে মেনশন করে লেখেন, ‘আপনার ভাষ্য মতে আমি যদি একজন লক্ষ্মী শিল্পী-ই হয়ে থাকি, তাহলে ২ বছর আগে শুরু হওয়া কাজের রেমুনারেশন আমাকে দিতে এত অপেক্ষা করাচ্ছেন কেন আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া ভাইয়া?’
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে আইশা বলেন, ‘আমি পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উনি (আবু হায়াত মাহমুদ ভূঁইয়া) আমাকে কল দেন। কিন্তু আমি খুব আপসেট ছিলাম। কারণ কষ্ট বেশি না পেলে এ ধরনের পোস্ট দিতাম না। সেখানে দুই বছর হয়ে গেছে এবং গত আট মাস ধরে তিনি একই অজুহাত দিচ্ছেন। তার পরিবারের সদস্য অসুস্থ, হাতে টাকা নেই, শুটিং চলছে সামনে মাসে টাকা এলেই আমাকে দিয়ে দেবেন, বিষয়গুলো গত ১০ মাস ধরে শুনছি। আর শুনতে চাচ্ছিলাম না। এ জন্য ফোনটা ধরিনি। এর পাঁচ মিনিট পর দেখি উনি আমাকে ‘থ্যাংকস’ লিখে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।’
অভিনেত্রীর কথায়, ‘দীপ্ত প্লের একটি সিরিজের কাজ করেছিলাম ২০২২ সালের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরে। ২৬ পর্বের কাজ ছিল। মাসে দেখা যেত এক দিন করে শুটে যেতে হয়েছে আমাকে। প্রথম দুটি বিল উনি আমাকে সঙ্গে সঙ্গে দিয়েছেন। এর পর থেকে দেরি করে দিতেন। সর্বশেষ এ বছরের কোরবানি ঈদে বিল দেন। উনার শ্বশুর তখন অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। আমার এক লাখের ওপরে বকেয়া ছিল। যেহেতু ঈদ মৌসুম সেহেতু উনার কাছে আমি পারিশ্রমিক চাই। উনি আমাকে ৫০ হাজার দেন। এখনো সাড়েও ৬২ হাজার বাকি। ঈদের পর থেকেই টাকাটা নিয়ে ঘোরাচ্ছেন। ফোন দিলেই নানা অজুহাত দেন। গতকাল পোস্ট দেওয়ার পর অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা জানান, উনি (আবু হায়াত মাহমুদ) এ রকমই। পারিশ্রমিক দেন না ঠিকমতো। কেউ কেউ আশাও ছেড়ে দিয়েছেন ঘুরতে ঘুরতে।’
সর্বশেষে আইশার প্রশ্ন, ‘আমার কথা হচ্ছে একজন শিল্পীকে এসব বিষয় নিয়ে ভুগতে হবে কেন?’ তবে বিষয়টি নিয়ে আবু হায়াতের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড আর্টসেলকে সাথে নিয়ে বাইকার ও সংগীত প্রেমীদের জন্য এক মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছে সুজুকি মোটরবাইক। বাইকের রোমাঞ্চ ও মেটাল সঙ্গীতের উন্মাদনাকে একত্রিত করার এই উদ্যোগ বাইকার এবং সংগীতপ্রেমীদের জন্য নিয়ে এসেছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
বাইকারদের ভালোবাসা ও প্রতিশ্রুতি থেকে অনুপ্রাণিত এই গানটিতে উঠে এসেছে স্বাধীনতা, উন্মাদনা এবং জীবনের আনন্দ। এই মিউজিক ভিডিওতে সুজুকি মোটরবাইকের দৃষ্টিনন্দন উপস্থিতির সাথে আর্টসেলের মিউজিক এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই বিশেষ উদ্যোগে আরও একটি চমক যুক্ত করেছেন তরুণদের প্রিয় মুখ এবং সুজুকির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ। তার ক্যারিশম্যাটিক উপস্থিতি, উদ্যমী চরিত্র এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী মনোভাব বাইকারদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। তরুণদের সঙ্গে তার অসাধারণ সংযোগ এই প্রজেক্টকে করেছে আরও আকর্ষণীয়।
সুজুকি মোটরবাইকসের এই উদ্যোগ কেবল একটি মিউজিক ভিডিও-ই নয়, বরং এটি জীবনযাত্রা, স্বাধীনতা ও আবেগ। সুজুকি তাদের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা, উচ্ছ্বাস ও জীবনের আনন্দ তুলে ধরতে এবং বাইকারদের অনুপ্রাণিত করতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে।
আর্টসেল এবং সুজুকির অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব পেজে মিউজিক ভিডিওটি উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া, শীঘ্রই এটি স্পটিফাইতেও পাওয়া যাবে।
বলিউড তারকা মালাইকা আরোরা ও আরবাজ খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে অনেক বছর আগেই। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেমিক অর্জুন কাপুরের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়েছে এই বলি তারকার। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল আছেন। জীবনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তিনি হয়েছেন এবার সেই কথাই শেয়ার করেছেন।
সম্প্রতি কার্লি টেলসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাওয়া দম্পতিদের উদ্দেশ্যে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিয়ে করার আগে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত? তা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মালাইকা বিশ্বাস করেন, স্বামী-স্ত্রীর দুইজনেরই আলাদা আলাদা সঞ্চয় থাকা উচিত। আর্থিকভাবে তাদের স্বতন্ত্র হওয়া উচিত। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের পরেও মেয়েদের নিজের পরিচয় ধরে রাখতে হবে।
এছাড়া স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মালাইকা মনে করেন, বিবাহিত সম্পর্কে যেমন একে অপরের পরিচিতিটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই ব্যক্তিগত পরিচয়ও অক্ষত রাখা অপরিহার্য। বিশেষ করে সম্পত্তি এবং আর্থিক বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখা উচিত।
মালাইকা আরও বলেছেন, একসঙ্গে সংসার করার সময় স্বামী-স্ত্রী কারোরই নিজের পরিচয় হারানো উচিত নয়। তার মতে, যদি আপনি আপনার সঙ্গীর পদবী গ্রহণ করেন, তবুও নিজের ব্যক্তিগত একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা প্রয়োজন।
২০১৬ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন মালাইকা। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। ডিভোর্সের পর অর্জুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন অভিনেত্রী। কিন্তু সে সম্পর্কেও হানা দিল বিচ্ছেদের সুর।