জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর জুলাই গণ অভ্যুত্থানে বেশ সরব ছিলেন। নিজের সন্তানকে নিয়েও রাজপথে নেমেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছিলো।
এবার আসিফকে দেখা গেলো সেই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সঙ্গে! আজ (২৮ অক্টোবর) হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন আসিফ নিজেই।
বিজ্ঞাপন
সেই ছবিটির ক্যাপশনে আসিফ আকবর লিখেছেন, ‘জেনজির পক্ষ থেকে জুলাই বিপ্লবের দুই সফল অধিনায়ক এসেছিলেন ধন্যবাদ জানাতে। তাদের সঙ্গে দেশ, সমাজ, রাজনীতির পাশাপাশি সংগীত আর মিডিয়া নিয়েও গল্প হলো। এরা যথেষ্ট জ্ঞানী এবং স্মার্ট।’
হাসনাতকে ‘সোজাসাপটা’ ও সারজিসকে ‘মৃদুভাষী’ সম্বোধন করে আসিফ আকবর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ খুব স্ট্রেইট কাট ছেলে, সারজিস আলম মৃদুভাষী। আমিও তাদেরকে আমাদের Z-Force এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
সবশেষ আসিফ বলেন, ‘৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবে বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছিল দুঃসহ অবস্থা থেকে। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব এনে দিয়েছে আওয়ামী-বাকশালীদের খুনীতন্ত্র থেকে মুক্তি। Z-Force এর নভেম্বর বিপ্লব আর Gen-Z এর জুলাই বিপ্লব সমুন্নত থাকুক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে।’
মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার। দেশ নাটকের ‘পারো’ নাটকটিতে একাই অভিনয় করেন তিনি। গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নাটকটির ৯ম মঞ্চায়ন হয়ে গেলো বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। ‘পারো’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাসুম রেজা।
এর আগের শোগুলোতে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। জাকিয়া বারী মমসহ শোবিজের জনপ্রিয় তারকারাও তার নাটকটি দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
৯ম শো দেখতে হাজির হন দেশের প্রখ্যাত নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি। তারা দুজনই সুষমার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন।
‘পারো’ একজন মধ্যবিত্ত পেশাজীবী নারীর গল্প। হাফ ডজনের বেশি চরিত্র রয়েছে নাটকটিতে। এর গল্পে যে কনফ্লিক্টগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো সমাজের দৃষ্টিতে ছোট ছোট সমস্যা। অনেকে মনে করতে পারেন এ নিয়ে পারো কেন এতো বেশি রি-অ্যাক্ট করছে?
এ প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা একদমই ঠিক বলেছেন। পারো খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটি মেয়ে। তার মানে এই নয় যে, সে অনেক বেশি অধিকার চায়, জীবনটাকে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে সাজাতে চায়। সে আসলে একজন মানুষের যতোটুকু পাওনা সমাজের কাছে ঠিক অতোটুকু নিয়েই বাঁচতে চায়। কিন্তু সেটাও কি আমাদের সমাজ নারীদেরকে দেয়?’
সুষমা আরও বলেন, ‘আমি হলফ করে বলতে পারি, রাজধানীর বাসে চড়া প্রতিটি নারী আনকম্ফোর্টেবল সিচুয়েশনে পড়েন কোন না কোন সময়। অনেক নারীই স্বামীর দ্বারা, বসের দ্বারা, বাড়িওয়ালার দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে নির্যাতিত হন। শারীরিক, মানসিক- এই নির্যাতন প্রতিদিন নারীর ভেতরের ‘আমি’কে ক্ষত বিক্ষত করে।’
‘সুতরাং ২০২৪-এ এসে আমরা শুধু বড় ইস্যু হিসেবে যেগুলো গণ্য সেগুলো নিয়ে কথা বলব, তা কিন্তু নয়। সময় এসেছে নারীর ছোট বড় সব ইস্যু নিয়ে কথা বলার। কারণ সমাজে টক্সিক রিলেশনশীপ এতোটাই প্রকট হচ্ছে যে এ নিয়ে এখন কথা না বললে বড্ড দেরী হয়ে যাবে’ যোগ করেন সুষমা।
একক নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘থিয়েটারের প্রায় সব অভিনয়শিল্পীর জীবনে যে কটা গোল থাকে তার একটি হলো একদিন তিনি একক নাটকে অভিনয় করবেন। একাই একটি গল্পের সবগুলো চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন। একাই পুরো মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াবেন তার এতোদিনের অভিজ্ঞতা, ডেডিকশন আর চর্চার ওপরে সাওয়ার করে। কিন্তু গুটিকয়েক শিল্পী এই সুযোগ পান। আমাদের ‘দেশ নাটক’ থেকে প্রথম একক নাটক এই ‘পারো’। সেই নাটকেই আমি একক অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ গর্বিত ও আনন্দিত।’
একা এতোগুলো চরিত্রে অভিনয় করা নিয়ে সুষমা বলেন, ‘একক নাটক করতে গিয়ে প্রতি শোয়ের আগে একদিক থেকে যেমন দারুণ আনন্দ হয়, অন্যদিকে খুব নার্ভাস লাগে। কেমন পারফর্ম করবো? দর্শক কতোটা উপভোগ করবে- এসব নিয়ে এক ধরনের চাপ থেকেই যায়।’
নাটকটি তৈরির পেছনের গল্পও জানালেন সুষমা, ‘নাটকটি মূলত নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা রচনা করেছেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জার কথা ভেবে। তিনিই নাটকটির প্রথম দুটি শো করেছেন। এরপর থেকে আমি অভিনয় অভিনয় করছি।’
বেশ কয়েক বছর আগে মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর জানিয়েছিলেন মনের মতো পাত্র পেলেই পুনরায় বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। অবশেষে কাঙ্খিত পাত্র পেলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি দুবাইয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন সুজানা।
সেখান থেকে তিনি জানালেন, গেল ২২ আগস্ট দুবাই কোর্টে বিয়ে করেছেন তিনি। তার স্বামীর নাম সৈয়দ হক, তিনিও দুবাই থাকেন। পেশায় দুবাইয়ের একজন ব্যবসায়ী তিনি।
গত সাত বছর ধরে স্বামী সৈয়দ হকের সঙ্গে পরিচয় সুজানার। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না, দাবি সুজানার। বললেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে।’
সুজানা আরও বলেন, ‘আগস্টে যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাজে ছিল। তখন এই বিষয়টি জানানোর মতো অবস্থা ছিল না। ইসলামে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। একেবারে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। বিয়েটা যেহেতু পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের দুই পরিবার বিষয়টি অবগত।’
অনেক আগেই অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মন দিয়েছেন সুজানা। আর কখনোই অভিনয়ে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুজানার ইচ্ছে ছিল হানিমুনে না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে হজ পালন করবেন। সেই ইচ্ছেও পূরণ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিয়ের দুই দিন পর আমরা দুজনে উমরাহ পালন করেছি। আল্লাহ আমাকে যে পথে রেখেছেন আমি বাকিটা জীবন এভাবে পার করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তার প্রথম বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস। এরপর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে ২০১৪ সালের আগস্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে করেন। চার বছর প্রেমের পর সংসার শুরুর মাস তিনেকের মাথায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। আট মাসের মাথায় তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
আর কয়েক দিন বাদেই মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এর আসর বসতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাওয়া এই সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নভেম্বরের ১৫ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে।
এবারের আয়োজনটি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, তিন বছর বিরতি দিয়ে এ বছর ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের আয়োজনে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবেন আনিকা আলম নাম। তিনি একজন বিবাহিত নারী এবং সন্তানের জননী।
তবে কোন প্রতিযোগিতা নয়, আনিকাকে সিলেকশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্ট কর্তৃপক্ষ।
‘মিসেস’ হয়ে কীভাবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিচ্ছেন আনিকা? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে। তাদের জন্য বলে রাখা ভালো, বিগত প্রায় ৭০ বছর যাবত ‘মিস ইউনিভার্সে অংশ নিতে হলে তাকে অবিবাহিত হতে হতো। কিন্তু ২০২৩ সালে থেকে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম করেছে, বিবাহিতরাও অংশ নিতে পারবেন। আগে বয়সসীমা ২৮ ছিল, এখন বয়সের বাঁধাও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, আনিকা আলম একজন আন্তর্জাতিক মেকাপ আর্টিস্ট। একইসঙ্গে তিনি নারীর ক্ষমতায়নে দৃঢ় কণ্ঠস্বও এবং একজন নিবেদিত মা। তিনি লয়োলা মেরিমাইন্ড ইনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে কাজ করেছেন লস আঞ্জেলেসের মেয়রের অফিসে। বর্তমানে জাতিসংঘরের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে জিরো হাঙ্গার নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনিকা আলম বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীদের প্রতিভা ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাবো। সবার সাপোর্ট পেলে বিশ্বমঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন বিশ্বমঞ্চে আমি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও জানতাম না এই আয়োজনে অংশ নেব। যেহেতু অংশ নিচ্ছি নিশ্চয়ই ভালো কিছু নিয়ে ফিরবো। এখানে থেকে ফিরে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করবো। এর বাইরে অভিনয় করবো কিনা সেসব নিয়ে ভাবিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মিস ইনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৪ আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই ইভেন্ট বাতিল করা হয়। বন্যা ও জুলাই আন্দোলনে আহতদের সহায়তায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ৫ লাখ টাকা দানের ঘোষণা দিয়েছে।
একসময় ছোটপর্দা মাতিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফর। ২০১৫ সালের এপ্রিলে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী হৃদয় খানের সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদের পর এই তারকা শোবিজে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তবে বিগত কয়েক বছর শোবিজ থেকে একেবারেই দূরে আছেন এই অভিনেত্রী। এখন তিনি ধর্ম কর্মে মন দিয়েছেন। সুজানার বছরের বেশিভাগ সময়ই এখন বিদেশে কাটে। ইদানিং তিনি দুবাইয়ে থাকছেন। কারণ সুজানা বাংলাদেশের পাশাপাশি আরব আমিরাতেরও নাগরিক।
মূলত নিজের ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সুজানা। দুবাই থেকেই তার সুজানা’স ক্লোজেটের জন্য সামগ্রী নিয়ে আসেন দেশে। তবে নিজেও ডিজাইন করেন অনেক পোশাক। যদিও এখনই নিজেকে পুরাদস্তুর ফ্যাশন ডিজাইনার বলতে নারাজ সুজানা। নিছক নিজের ভালো লাগা থেকেই ডিজাইন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তার প্রথম বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার মাস। এরপর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে ২০১৪ সালের আগস্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে করেন। চার বছর প্রেমের পর সংসার শুরুর মাস তিনেকের মাথায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। আট মাসের মাথায় তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
নতুন খবর হচ্ছে, চুপিসারে তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন সুজানা জাফর। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে কেকের উপর লেখা, ‘হ্যাপি ম্যারিড লাইফ, সুজানা অ্যান্ড জায়াদ’।
ভিডিওতে এক ঝলক সুজানার স্বামীকেও দেখা যায়। ভিডিওর মন্তব্যর ঘরে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। সুজানার স্বামীর পরিচয় জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।