এখন এসে অপু বলছেন, শেখ হাসিনার চরিত্রটি করছেন না!
ঢালিউডের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা অপু বিশ্বাস আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এ কথা সবাই জানেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার একাধিকবার সাক্ষাৎও হয়েছে। তৎকালীন রুলিং পার্টির সঙ্গে অপুর সুসম্পর্ক থাকায় তিনি সরকারি অনুদানও পেয়েছেন ‘লাল শাড়ি’ সিনেমার জন্য।
শুধু তাই নয়, গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্রও কিনেছিলেন অপু। যদিও আওয়ামী লীগ তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করেনি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ‘শেখ রাসেলের আর্তনাদ’ নামে একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এই নায়িকা। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য রাসেলের জীবনী নিয়ে ছবির গল্প। মাত্র ১০০ টাকা পারিশ্রমিকে ছবিটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের।
সেই সময় ছবির পরিচালক সালমান হায়দার বলেছিলেন, ‘এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অপু কোনো পারিশ্রমিক নিতে চাননি। নামমাত্র ১০০ টাকা দিয়ে তাকে সিনেমায় যুক্ত করেছি।’ অপু বিশ্বাসও বলেছিলেন, ‘সিনেমাটির গল্প শুনে একবাক্যে রাজি হয়ে যাই। ঐতিহাসিক এই সিনেমার অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি কাজটি দারুণ হবে।’
এখন দেশের পটভূমি পাল্টেছে। ছবির কী হবে? ছবিটি আদৌ নির্মাণ হবে কি না জানার জন্য ছবির পরিচালক সালমান হায়দারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে আজ গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন অপু বিশ্বাস। তিনি জানান, অনেক আগেই ছবিটি থেকে সরে এসেছেন। চুক্তি হওয়ার এক মাসের মাথায়; অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই কাজটি না করার কথা ছবির প্রযোজক ও পরিচালককে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই ছবিটির ব্যাপারে কিছু জানেন না তিনি।
কিন্তু যে অপু বিশ্বাস অনেক অপ্রয়োজনীয় কথাও সংবাদমাধ্যমে বলে খবরের শিরোনাম হন, সেই তিনি একটি ছবি থেকে সরে দাঁড়ালেন অথচ কাউকে জানালেন না সেটা এক ধরনের রহস্যই বটে!
কেন সরে এলেন জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘ছবির প্রযোজক, পরিচালকের কথা ও কাজের মিল পাচ্ছিলাম না বলে ছবিটি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। কাজটি নিয়ে তাদের কমিটমেন্ট ঠিক ছিল না। কাজ যা-ই হোক, কমিটমেন্ট থাকতে হবে। তা না হলে একটা ভালো কাজ তৈরি হবে না। ওই সময় তারা কাজের কথা বলে মিথ্যা বলেছিলেন, কাজটির পরিকল্পনা নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন।’