লন্ডনের মাইল এন্ড স্টেডিয়াম মাতাবেন বাংলাশের রকস্টার জেমস। আগামী ২৬-২৭ মে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ নামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক নেক্সট স্টেজ ইভেন্ট। খবরটি নিশ্চিত করেছেন নগর বাউল জেমসের ম্যানেজার রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন।
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অন্যতম বড় মিলনমেলা। এখানে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর অনেকেই অংশ নিয়েই থাকেন। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই প্রতিবছর এ আয়োজন করা হয়। আর আগামী ২৬-২৭ মে উপস্থিত থাকবেন জেমস ।
বিজ্ঞাপন
এবারের আয়োজনে যাত্রাপালা, বাউল গান ছাড়াও বাংলা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।
আবারও ভালোবাসা দিবসের জন্য জুটি বাঁধলেন ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ‘তোমায় পাবো কি?’ নাটকে দেখা যাবে তাদের রসায়ন। চট্টগ্রামের সিআরবি, বাটালি হিল, পতেঙ্গা, বায়েজিদ লিঙ্ক রোড, পারকি বিচ, নিউ মার্কেট, চারুকলায় গত ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি নাটকটির শুটিং হয়েছে।
‘তোমায় পাবো কি?’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আদর ও যত্নে বানানো নাটক এটি। মায়া আর আবেগ দিয়ে নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এটি আমার কাছে নতুন একটা এক্সপেরিমেন্ট। লেখা থেকে শুরু করে এখন পোস্টের কাজ অবধি রুদ্র ও চিত্রাকে আমার মনের ভেতরে ধারণ করে রেখেছি। দর্শকরা আমাদের কাজ পছন্দ করলেই সব কষ্ট সার্থক হবে।’
‘তোমায় পাবো কি?’ নাটকে রুদ্র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। ছেলেটি গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সংগ্রাম করছে। তার আশা, একটা জুতসই সুযোগ পেলেই ভাগ্যবদল হবে। সেই অপেক্ষায় আছে সে।
আর চিত্রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। মেয়েটি একটি ছিমছাম পরিবারে বেড়ে উঠেছে। রুদ্রর সঙ্গে তার কয়েক বছরের সম্পর্ক। এতোদিনের সম্পর্কে সে একবারের জন্যও রুদ্রকে হতাশ হতে দেয়নি। রুদ্র যখনই ভেঙে পড়েছে, প্রতিবার স্তম্ভ হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে চিত্রা।
এদিকে চিত্রা সিদ্ধান্ত নেয়, পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করতে অস্ট্রেলিয়া যাবে। তবে যাওয়ার আগে বিয়ে করার চাপ দেয় পরিবার। চিত্রা তখন রুদ্রর কথা জানায়। কিন্তু তারা এই বেকার ছেলেকে মানতে নারাজ। একইভাবে রুদ্র পায়ের তলার মাটি শক্ত না থাকায় বিয়ে করতে রাজি হয় না। ফলে মেয়েটি কষ্ট নিয়ে চলে যায় বিদেশে।
রুদ্র একসময় গানের বড় তারকা বনে যায়। চিত্রা গ্রাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরে। সে রুদ্রর সঙ্গে দেখা করতে চায়। তাদের কি আদৌ দেখা হবে আবার? সেই উত্তর মিলবে নাটকে।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয় গত বৃহস্পতিবার। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।
পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।
এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এদিকে, সম্প্রতি ঢাকার বাইরে একটি শো রুম উদ্বোধণে বাধা পেয়ে পরীমণি গত রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে!? অনিরাপদ অনুভব করছি! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা! মেহজাবীন, পড়শী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা! কি বলার আছে আর...। এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেওয়া হোক তাহলে! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি প্রসাধনসামগ্রীর শোরুম উদ্বোধনে বাধা পাওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীমণি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি পরীমণি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেন, ‘এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি!!! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে ! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা।’
তিনি আরও লিখেন, ‘মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!? কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে !’
সবশেষে পরীমণি লিখেন, ‘তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ??? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ আগামী ২৯ জানুয়ারি আয়োজন করছে ‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’ স্লোগানে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’। এই আয়োজনটি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিকাল ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।
চলচ্চিত্র একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর, সর্বাধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্ট যা গণযোগাযোগের মাধ্যমে সমাজকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার। বিশ্বের অনেক দেশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতও বটে। বাংলাদেশে গত ৬০ বছরে চলচ্চিত্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ, কলা ও বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। দেশের প্রতিটি খাতে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতায় সংস্কার কার্যক্রম চলমান। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তায় সকল অংশীজন মিলে চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের অন্যতম গণযোগাযোগ, বিনোদন, শিল্প চর্চা ও বাণিজ্যক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে অতীব জরুরী ভিত্তিতে কিছু দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করাই জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫ এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন রাকিব (তনয়)। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ৫০০’র অধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, অভিনয়শিল্পীসহ অনেকেই।
জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫ এ যেই বিষয় সমূহ উপস্থাপিত হবে-
১। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন এর সংস্কার
২। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এর গঠন পরিবর্তন
৩। সিনেমা ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, ই-টিকেটিং সার্ভার ও বক্স-অফিস
৪। জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র
৫। টিকিট শেয়ার মানি
৬। চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসার
৭। গাজীপুর ফিল্ম সিটি
৮। চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি উন্মুক্তকরণ
৯। এন্টি-পাইরেসি সেল গঠন
১০। চলচ্চিত্রে সরকারি বিনিয়োগ সহ ১৮ এর বেশি সংস্কার ,কর্ম প্রস্তাবনা এবং দাবি উপস্থাপিত হবে।