লিগ্যাল নোটিশ, সমিতির কাছে বিচার-বিষয়গুলো আফসোসের: অপূর্ব

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অপূর্ব /  ছবি : ফেসবুক

অপূর্ব / ছবি : ফেসবুক

সম্প্রতি, ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর বিরুদ্ধে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই চুক্তির ভঙ্গের অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠায়। তবে শনিবার মধ্যরাতে টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের মধ্যস্থতায় এর সমাধান হয়। এ প্রসঙ্গে একেবারে চুপ থাকলেও অবশেষে বিষয়টির সুরাহা হওয়ার পরই মুখ খুলেছেন অপূর্ব।

তিনি বলেন, ‘টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা চমৎকার মানুষ। তারা উভয় পক্ষের সবকিছু শুনে সঠিক বিচারটা করে দিয়েছেন। চুক্তি, অগ্রিম টাকা নেওয়া, শুটিং, সবকিছুরই সুন্দর একটা সমাধান হয়েছে। এখন আর আলফা আইয়ের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। দিন শেষে বিনোদন অঙ্গনের সবাই আমরা এক পরিবার। এই সমাধানে তারই প্রতিফলন হয়েছে এখানে।’

বিজ্ঞাপন
মীমাংসার পর টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গে অপূর্ব ও আলফা আইয়ের শাকিল/ছবি: ফেসবুক

এই অভিনেতার কথা, দীর্ঘদিন ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার পথচলা। একটা ভালো ইমেজ নিয়েই এখানে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমার সম্পর্কে সেই ধারণা সবার মধ্যেও আছে। আমি অন্যায় করবো, এমন তো না। এটি আমাদের দুই পক্ষেরই পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা ছাড়া আর কিছুই না!’

কিন্তু বিষয়টি এতদূর গড়ানোর আগেই সমাধান করা যেতো কি না, এ ব্যাপারে অপূর্বর বক্তব্য, ‘অবশ্যই আগেই এটি নিজেরা বসে সমাধান করা যেতো। এতদূর গড়ানোটা এড়ানো যেতো। আমরা নিজেরা বসে সুন্দর করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারতাম। শুধু এটিই নয়, যেকোনো কাজই বসে সুন্দর করে কথা বলে সমাধান করা সম্ভব বলে আমি মনে করিি।’

অপূর্ব/ছবি: ফেসবুক

আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক অপূর্বর। সেই জায়গায় আদালত থেকে লিগ্যাল নোটিশ, সমিতির কাছে বিচার-বিষয়গুলো অপূর্বর কাছে আফসোসের। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ভাগ্যে ছিল! কপালে ছিল! তা না হলে এতদিনের সম্পর্কে কেন এমন ঘটনা ঘটবে! ছোট্ট একটা জিনিস ছিল অথচ এত বড় ঘটনা ঘটে গেল! এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের, বিব্রতকর বিষয়! যাহোক, একটা সুন্দর সমাধান হয়েছে। আশা রাখি, আমাদের মধ্যে আগের সম্পর্কই বজায় থাকবে।’

অপূর্ব/ছবি: ফেসবুক

কথা বলতে গিয়ে খানিকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অপূর্ব। বলেন, ‘আমি এই ইন্ডাস্ট্রির অনেক আদরের ছেলে! আমি ইন্ডাস্ট্রির কাছে কৃতজ্ঞ! আমি যখনই কোনো সমস্যায় বা বিপদে পড়ি, আমার সহকর্মীরা পাশে এসে দাঁড়ান। আমি কোনোদিন তাঁদের ঋণ শোধ করতে পারবো না! আমি যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন আমার সহকর্মীদের মনে রাখবো। সবাই যেভাবে আমার পাশে ছিলেন, চোখে পানি এসেছে, আমি কান্না করেছি।’