প্রযোজক থেকে অভিনেত্রী হয়ে ব্যস্ত সুবর্ণা মজুমদার
এ প্রজন্মের অভিনেত্রী ফারজানা সুলতানা সুবর্ণা মজুমদার। তার শুরুটা হয় প্রযোজক হিসেবে। এরপর অভিনয়ে নাম লেখান মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে। নাট্যদল আরণ্যক-এর কর্মী তিনি। বর্তমানে নাটক ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। সুর্বণা এ পর্যন্ত শতাধিক নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন।
সুবর্ণা বলেন, প্রতি মুহূর্তে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। মাঝে এলএল এম ফাইনাল পরীক্ষার কারণে কাজের চাপটা একটু কমাতে হয়েছিল। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এরই মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। এখন থেকে দর্শকরা আমাকে নিয়মিত কাজে পাবে।
সুর্বণা এরই মধ্যে শেষ করেছেন হানিফ সংকেত পরিচালিত নাম ঠিক না হওয়া একটি একক নাটকের কাজ। ঈদের দিন এটিএন বাংলায় নাটকটি প্রচার হবে। এছাড়া প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে একক নাটক ‘শেফালী হোস্টেল’। সামনে বেশকিছু ঈদ নাটকে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুর্বণা অভিনীত চলতি ধারাবাহিক আরটিভিতে ‘চিটার অ্যান্ড জেন্টলম্যান’, এটিএন বাংলায় ‘অক্টোপাস’ ও ‘গৃহলক্ষী’, বাংলাদেশ টেলিভিশনে রহিম রুপবানের ‘বনোবাসে রূপবান’ (রূপবান চরিত্রে)।
তাকে দেখা গেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও। ‘বরফকল’, ‘পতাকা’, ‘দৌড়’ নামের ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন। সুর্বণা তিনটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। ওটিটিতেও নিজেকে মেলে ধরতে চান এই অভিনেত্রী। তার অভিনীত সিনেমাগুলো হচ্ছে সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিত ‘অনাবৃত’, এইচ আর হাবিবের ‘জল কিরণ’, সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেনাপাওনা’ অবলম্বনে টেলিছবি ‘নিরুপমা’। চলতি বছরই সিনেমাগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
অভিনয় নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সুর্বণা বলেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অভিনয় করতে চাই। ভালো একজন অভিনয় শিল্পী হয়ে দর্শকের হৃদয় জায়গা করে নিতে চাই।
হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ ও ‘পাঁচফোড়ন’-এর নিয়মিত অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা। অভিনয়ের আঙ্গিনায় ফেনীর মেয়ে সুবর্ণার অভিষেক হয় দেবাশীষ বড়ুয়া দীপের নির্দেশনায় ‘ঘটক পাখি ভাই’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।