সোশ্যাল মিডিয়া বেশ সরগরম ‘খোদা হাফেজ’ সিনেমার ফাস্ট লুক নিয়ে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নতুন জুটি দিদার ও নিপা আহমেদ রিয়েলীকে নিয়ে অনিক বিশ্বাস নির্মাণ করেছেন ‘খোদা হাফেজ’ সিনেমাটি। সিনেমাটির পোস্টার উন্মুক্ত করা হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পোস্টারে নায়ক দিদারের সিক্স প্যাকে অ্যাকশন মুডের উপস্থিতি নজর কেড়েছে সিনেমাপ্রেমীদের ৷ স্নিগ্ধ চাহনিতে নজর কেড়েছেন নায়িকা রিয়েলীও। সিনেমা প্রেমীদের অনেককেই পোস্টার শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে সিনেমার পরিচালক দিদার-রিয়েলী জুটি ও পুরো টিমকে। তাদের মধ্যে আছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ। তিনি পোস্টারটি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন 'খোদা হাফেজ' টিমকে।
বিজ্ঞাপন
নির্মাতা অনিক বিশ্বাস বলেন, এরই মধ্যে সিনেমাটির দৃশ্যায়ন শেষ হয়েছে। গানের শুটিং শেষেই ডাবিং করা হবে। তারপর জমা পড়বে সেন্সরের টেবিলে। অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমাটি দর্শকদের ভালো লাগবে আর আমার এই সিনেমায় নতুন জুটি দিদার ও রিয়েলী বেশ ভালো কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দর্শকদের এই নতুন জুটিকে উৎসাহ দিতে ও তাদেরকে আরও অনুপ্রাণিত করার জন্য হলেও সিনেমাটি হলে এসে দেখা উচিত। আশা করি বাংলা সিনেমাপ্রেমী দর্শক নিরাশ হবেন না।
গতকাল (১১ অক্টোবর) ভারতের তিন হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে বলিউড সুপারস্টার আলিয়া ভাট অভিনীত সিনেমা ‘জিগরা’।
ছবিটি নানা কারণে আলিয়ার জন্য স্পেশ্যাল। এই ছবি দিয়েই মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আলিয়া। ছবির গল্প তাকে এতোটাই আকৃষ্ট করেছিলো যে, তিনি ছবিটির সহ প্রযোজক হিসেবে কাজ করতে রাজী হন করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনসের সঙ্গে।
ছোট ভাইকে বাঁচাতে মা বাবাহীন বড় বোনের পাহাড়সম সংগ্রামের গল্প ‘জিগরা’। সেই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। ছোট ভাইয়ের চরিত্রে আছেন জোয়া আখতারের ‘আর্চিস’ ওয়েব সিরিজ থেকে উঠে আসা সুদর্শন অভিনেতা ভেদাং রায়না।
ছবির প্লট ভারত নয়, বিদেশি জেলখানা থেকে ভাইকে উদ্ধার করার মতো অসাধ্যকে সাধন করতে পেরেছেন কি না আলিয়া, সেটি দেখতে হলে যেতে হবে সিনেমা হলে।
আপাতত জানা গেছে, ছবিটি যারা প্রথম দিনেই দেখে ফেলেছেন তাদের কেমন লেগেছে? বলিউডভিত্তিক প্রায় সব ক’টি গণমাধ্যমেই ‘জিগরা’র প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন ও দর্শক রিভিউ প্রকাশ করেছে। তাতে একটি বিষয়ের সঙ্গে সবাই একমত। তা হলো আলিয়ার অভিনয়।
আলিয়া বরাবরের মতো এবারও অভিনয়ের যাদু ছড়াতে ভোলেননি। তবে পুরো ছবি দিয়ে একাংশ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে বক্স অফিসে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, সেই ২০১৪ সালে ‘হাইওয়ে’ সিনেমার পরে আলিয়ার আর কোন ছবি প্রথম দিনে এতো কম টাকা আয় করেনি। প্রথম দিনে মাত্র ৪.২৫ কোটি আয় করেছে ভাসান বালা পরিচালিত ‘জিগরা’। ছবিটি এতো কম আয় করার কারণ হিসেবে প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, একইদিনে মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার রাও, মল্লিকা শেরাওয়াত, তৃপ্তি দিমরি, শেহনাজ গিল অভিনীত ‘ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও’ ছবিটি। ঠিক তার একদিন আগেই ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি রজনীকান্ত ও বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ভাট্টিয়ান’ ছবিটি। তাছাড়া আলিয়া ছাড়া ‘জিগরা’তে আর কোন বড় তারকা নেই। সবমিলিয়ে সিনেমাটির আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
শুধু তাই নয়, দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ভারতের আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে বড় বাজেটের ছবিগুলো। যেমন কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে দেবের ‘টেক্কা’, মিঠুন চক্রবর্তীর ‘শাস্ত্রী’ও শিবপ্রসাদ-আবির চ্যাটার্জির ‘বহুরূপী’।
তবে আশার আলো রয়েই যায়। কারণ, আলিয়ার ‘হাইওয়ে’ প্রথম দিনে কম টাকা আয় করলেও আস্তে আস্তে ছবির মেরিটের কারণে দর্শকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং সুপারহিট হয়। শুধু তাই নয়, এই ‘হাইওয়ে’ ছবিটির মাধ্যমে আলিয়া প্রথম দর্শক-সমালোচককে বোঝাতে সক্ষম হন যে তিনি একজন তুখোড় অভিনেত্রী। পেয়েছিলেন সম্মানজনক ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারও। এরপর তো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া আলিয়ার জন্য ডাল ভাত হয়ে গেছে।
‘জিগরা’ নারীপ্রধাণ ছবি। এর আগেও আলিয়ার একাধিক নারী প্রধাণ ছবি (গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি, রাজী, ডার্লিংস, ডিয়ার জিন্দেগি) সুপারহিট হয়েছে। ‘জিগরা’ যদি সেই পথে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টুডে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বলিউডলাইফ.কম
দূর্গা দেবী, তবে তার স্থান কি শুধুই মন্দিরে? গত বছরের দূর্গা পূজার সময়েও বিশেষ ফটোশুটের মাধ্যমে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন মেধাবী অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
তিনি মনে করেন, দূর্গা কেবল মন্দিরে পূজনীয় দেবী নয়! তিনি প্রতিটি নারীর আত্মার প্রতিফলন। দূর্গা শান্তি ও বিজয়ের প্রতীক।
এবারের দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যেও বিশেষ ফটোশুট ও ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছে নওশাবার ‘টুগেদার উই ক্যান’ ও ফটোগ্রাফি এজেন্সি ‘মোমেন্টওয়ালা’। পরিচালনা ও ফটোগ্রাফি করেছেন মোঃ নাজমুল হোসেন। নওশাবাকে দেবী দূর্গার বেশে সাজিয়েছেন ইমন হোসেন। ভিডিওর সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইজাজ ফারাহ। সিনেমাটোগ্রাফি ও এডিটিং-এ ছিলেন ইমরানুজ্জামান সোহাগ। এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার অমিত সিনহা।
গত বছর নওশাবা দূর্গার ভূমিকাকে দেখিয়েছিলেন ব্যস্ত রাজধানীর প্রেক্ষাপটে। এবার তার ফটোশুটের থিম ‘দূর্গার সমুদ্র’। তাই তার এবারের ছবিগুলোতে সমূদ্র বড় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিটি ছবিতে উঠে এসেছে সমূদ্র বিষয়ক কার্যক্রম।
তবে এবারের ফটোশুটটির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো, এতে সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবী রূপে নারী শক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস করা হয়েছে।
নওশাবা মনে করেন, ‘দূর্গা ভালোবাসা আর সম্প্রীতির আধার। সমুদ্রের মতো তিনিও সর্বব্যাপী, সবকিছুকে আলিঙ্গন করেন।’
নওশাবা দূর্গার বেশে হাজির হয়ে তুলে ধরেছেন ধর্মীয় সম্প্রীতি, সমূদ্রের পরিবেশ দূষণ ইস্যু, দূর্গার মাতৃরূপ, সাহায্যকারী রূপ, ত্রাণকর্তার ভূমিকা ইত্যাদি।
বিচ্ছেদের ঘোষণা এসেছিল এক মাস আগেই। দাম্পত্য জীবনের ইতি কেন টানছেন? তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার লোপেজ। তারপরও হলিউডের এই আলোচিত তারকা দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। আর সেসব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জেনিফার লোপেজ।
বিশ্বনন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী কেন তার সংসার টিকিয়ে রাখতে পারছেন না? চতুর্থবার বিয়ে করেও কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হলো? এ প্রশ্ন এখন অনুরাগীদের অনেকের। তাই বিচ্ছেদ নিয়ে এবার সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন লোপেজ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২৬ বছরের অভিজ্ঞতায় একটা বিষয়ই আমার কাছে স্পষ্ট যে, আমি চ্যালেঞ্জিং যে কোনো কিছু তখনই করতে পারব, যখন আমি মুক্ত থাকব। যে সত্যিকার অর্থে আকাশে উড়ার মতো। আমি কী এবং কিসে আমার সক্ষমতা, তা প্রমাণ করার জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি ছিল। তাই বিচ্ছেদের পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে হয়নি।’
লোপেজ আরও বলেছেন, ‘একজীবনে অনেক মানুষের দেখা মেলে, যাদের সঙ্গে পথ চলতেও ভালো লাগে। মনে হয়, দু’জনে মিলে গেলে জীবনটা আরও আনন্দময় হয়ে উঠবে। আমার বেলায়ও সেটাই হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, সম্পর্ককে পরিণয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার পর সেটা এলোমেলো হয়ে গেছে। কারণ, একটাই উভয়ের চিন্তাধারা বিস্তর তফাৎ। তাই একসঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাসও এক সময় বিষাদী হয়ে উঠেছে। ওজানি নোয়া, ক্রিস জাড, মার্ক অ্যান্থনি থেকে বেন অ্যাফ্লেক কেউই দাম্পত্য জীবনের গল্পে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেননি। বিবাহিত জীবনের গল্পে তাই ঘুরে ফিরে তাই একই দৃশ্যের অবতারণা।’
জেনিফার লোপেজ তার সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করার পাশাপাশি এও স্বীকার করেছেন যে, প্রতিবারই বিচ্ছেদের পর মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসেছে বেনের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা নিয়ে।
অভিনেত্রীর কথায়, পুরোনো প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিতেই দুই দশক পর এক হয়েছিলাম আমি আর বেন। ভেবেছিলাম, এবার জীবন সুখের স্রোতে বইতে থাকবে। কিন্তু সেই ভুল ভেঙেছে তখনই, যখন বুঝতে পেরেছি, আমি আর বেন আসলে দুই মেরুর বাসিন্দা।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত ছবি জিগরা। প্রথমদিন বক্স অফিসে মুভিটি আয় করেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মাঝেই এক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন এই অভিনেত্রী। জানালেন বলিউড অভিনেতা রাম চরণ তার মেয়ের নামে হাতি পুষছেন।
সম্প্রতি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে একথা জানান আলিয়া। তিনি বলেন, আরআরআর ছবিতে একসঙ্গে কাজ থেকে রাম চরণের সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্ব। রাহার (আলিয়ার মেয়ে) জন্মের পর রাম একটা হাতি পাঠিয়েছিল। রাম চরণের এই কাজটা আমার খুব ভালো লেগেছ।
আলিয়া জানান, রাম চরণ তার জন্য একটি বিশেষ কাজ করেছেন যা দেখে তিনি ভীষণ খুশি এবং খুব ভালো লেগেছে।
কী সেই কাজ এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী জানান, রাহার জন্মের পর রাম চরণ তার বাড়িতে একটি হাতি পাঠান। আর সেটা দেখেই মুগ্ধ হন আলিয়া। তিনি এই স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি যখন জানতে পারেন বা তাকে যখন জানানো জয় যে রাম চরণ রাহার জন্ম উপলক্ষ্যে হাতি পাঠিয়েছেন তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। বিশ্বাস করতে পারেননি যে তার বাড়িতে একটা আস্ত হাতি হেটে চলে ঘুরে বেড়াবে।
তবে এখানেই ছিল চমক। রাম চরণ যে হাতিটি আলিয়াকে পাঠিয়েছিলেন সেটা সত্যিকারের হাতি নয়। কাঠের হাতি ছিল। কিন্তু অভিনেতা নিজে সত্যিই একটি বন্য হাতিকে অ্যাডপ্ট করেছিলেন রাহার নামে। রাম চরণের এই কাজটা আলিয়ার খুব ভালো লেগেছিল।
তবে যে কাঠের হাতি রাম চরণ পাঠিয়েছিলেন সেটা এখনও কাপুর বাড়ির পাঁচ তলায় খাবার জায়গায় রাখা আছে সেটার নাম এলি দেওয়া হয়েছে বলেও আলিয়া জানান। রাহা নাকি সেটায় চড়তে দারুণ ভালোবাসে।
আলিয়া আরও জানান যখন তারা একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তখন তাদের সম্পর্ক খুব একটা গড়ে ওঠেনি। কারণ খুব ব্যস্ত শিডিউল থাকত তাদের। কিন্তু ছবিটি প্রচার করতে গিয়ে তাদের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সুসম্পর্ক তৈরি হয়।